জন্মদিনে আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা কাউন্সিলর শকুর

৪৯ তম জন্মদিনে পরিবার, পরিজন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু। ২১ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। গতবছর করোনার কারণে জন্মদিনের কোন আয়োজন ছিল না। এবারও সেই রেশ রয়ে গেছে। তবে পরিবারের লোকজন সে বাধা মানেনি। রাত ১২টা ১ মিনিটেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে শকুকে শুভেচ্ছা জানান। দাম্পত্য জীবনে শকুর ২ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। স্ত্রী দিপা হাশেম এক সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করতো।

২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত বিলুপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে ওই সময়ে কমিশনার নির্বাচিতন হন শকু। ক্রমশ বাড়তে থাকে উন্নয়নের পরিধি। ২০১১ সালের প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তখনো পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূলে। অনেক বাধা অতিক্রম করে শুরু হয় পথচলা। ওই সময়ে প্রভাবশালী মহল নাখোশ হয় শকুর উপর। একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর করা হয় অমানবিক নির্যাতন। ডিবিতে মামলা হয় স্ত্রীর বিরুদ্ধেও। দুই বছর পর ২০১৩ সালের ২ মে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় চার্জশীটভুক্ত করা হয় তাকে। এরই মধ্যে তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা অনেকবার হানা দেয়। বেশ আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে পুরো পরিবার। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাকে আর বেগ পেতে হয়নি। তখনো বিপলু ভোটে জয় ঘটে। বিএনপির ঘরনার এ কাউন্সিলর মহানগর কমিটিতে রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। তবে এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি কোন রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়নি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এলাকার স্বার্থে উন্নয়নের জন্য তিনি সকল জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা নিয়েছেন। এলাকার মসজিদের উন্নয়ন, এতিমখানা মাদ্রাসায় অনুদান, গভীর নলকূপ স্থাপন, ফ্রি ওয়াইফাই জোন, এলইডি বাতি স্থাপনে তিনি স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সহযোগিতা নিয়েছেন। মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সুদৃষ্টির কারণে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে একের পর এক সড়ক সংস্কার, ড্রেন নির্মাণের কারণে পুরো ওয়ার্ড এখন উন্নয়নের এক মডেল। সহযোগিতা পেয়েছেন এমপি শামীম ওসমানেরও।

এমনও দেখা গেছে সকালে খানপুর হাসপাতালে এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে সভা শেষে করে বিকেলেই ছুটে গেছেন গঞ্জে আলী খালে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে।

সবশেষ মাদকের হটস্পট খ্যাত চাষাঢ়া রেলাইন হতে খানপুর অবধি গঞ্জে আলী খালটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এ খালের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে দৃশ্যপট। খানপুর বৌ বাজার এলাকার একটি পুকুর ঘাটলা উন্নতকরণের কারণে সেটা এখন সাঁতার কাটার আদর্শ স্থান হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এলাকাবাসীও সন্তুষ্ট এ কাউন্সিলরের প্রতি কারণ করোনার সময়ে তার পরিশ্রম বিশেষ করে জনসচেতনামূলক কর্মকান্ড, অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, রোজা ঈদে খাবার বিতরণ, করোনা হাসপাতালে বিশেষ নজরদারী রেখে সেখানে সেবা প্রদান করে রীতিমত আলোচনায় এ কাউন্সিলর।

যারা জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শকু তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আজীবন এ বন্ধন অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শকুর বাবা আবুল হাসেম ছিলেন একজন আইনজীবী। মা রাবেয়া হাসেম ছিলেন গৃহিনী। দুইজনই এখন পরবারে। চার ভাই ও ছয় বোনের পরিবার তাঁর।

শকু জন্মদিনে নিউজ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। রাজনীতিরস্থলে রাজনীতি। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি রাজনীতিকে দূরে রেখেছি। কারণ সবস্তরের সব দলের মানুষ আমাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। যেহেতু আমি জনগণের নিকট দায়বদ্ধ সেহেতু জন কল্যাণে কাজ করতে হলে আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের হতে হবে এবং সকল দলের সহযোগিতা নিতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’