খুলেছে মার্কেট প্রথমদিনে ক্রেতা কম
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১২:৪২ এএম, ১২ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ শেষে ১৯ দিন পর বুধবার (১১ আগস্ট) সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণি-বিতান খুলেছে। তবে প্রথমদিন নারায়ণগঞ্জের বিপণি-বিতানে ক্রেতার উপস্থিতি একেবারে কম। সকালে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় দোকানপাটে ক্রেতা আরও কমে যায়।
এদিন সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘসময় পরে সবকিছু একসঙ্গে খুলে দেয়ায় মানুষ নানা ধরনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা-পয়সাও নেই। পাশাপাশি কেনাকাটার জন্য এ সময়টা তেমন কোনো উপলক্ষও নেই। সব মিলিয়ে মার্কেট-বিপণি-বিতানে ক্রেতার আনাগোনা কম ছিল।
ডিআইটি মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে যে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছি, আগে কখনো এমন হয়নি। এখন দোকান খুললেও বিক্রি হচ্ছে না। পূজার অনেক দেরি। দোকানে বেচাকেনা কবে নাগাদ জমবে বলা মুশকিল। অনিশ্চয়তা নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে।’ বিধিনিষেধের সময় ১৯ দিন বন্ধ থাকায় তার দোকানে অনেক কাপড় নষ্ট হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার প্রথমদিন মার্কেটে অনেক দোকান বন্ধ দেখা গেছে। এসব দোকানের মালিকরা এখনো দোকান খোলেননি। যাদের একাধিক মার্কেটে দোকান আছে, তারা একটি অথবা দুটি দোকান খুলেছেন। বেচাকেনা বাড়লে দোকান খোলা হবে।
মিনাবাজার এলাকার অভিজাত এক জুয়েলারি দোকানের ম্যানেজার জানান, আজ তিনি দোকান খুলেছেন। কিন্তু এখনো (দুপুর) কোনো কিছু বিক্রি করতে পারেননি।
এদিকে, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে হবে এমন শর্তে সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণি-বিতান খুলেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণি-বিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
করোনার সংক্রমণরোধে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেদিন থেকেই সারাদেশের দোকানপাট ও বিপণি-বিতান বন্ধ। পরে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। তাতে ঈদের আগে ছয়দিন বেচা-বিক্রির সুযোগ পান ব্যবসায়ীরা।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণি-বিতান চালু থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।