বন্দরে বাল্য বিয়ের শিকার কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা
বন্দর করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

করোনাকালীন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। এখন করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় সরকার স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পাঠদানে তেমন মনোযোগী না হওয়ার সুযোগে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। তাই বিয়েকেই একমাত্র নিরাপদ মনে করছেন অভিভাবকরা।
তাই প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সম্প্রতি বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে ৫ম শ্রেনীর এক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছেন খোদ তারই পিতা-মাতা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উল্লেখিত ইউনিয়নস্থ ঘাড়মোড়া কোনাবাড়ি এলাকার আলম মিয়ার বাড়িতে।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া কোনাবাড়ি এলাকার আমির হামজা ওরফে আলমের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ঘারমোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৩) ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ দিচ্ছে তার পিতা মাতা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঘারমোড়া কোনাবাড়ি এলাকায় আমির হামজা গোপনে সোনাকান্দা এলাকার কাজী মাসুমকে ডেকে এনে এনায়েত নগর এলাকার প্রবাসী এক পাত্রের সাথে তার স্কুল পড়ুয়া নাবালক মেয়ের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করে।
ঘারমোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা শিক্ষার্থীদের খবর নিতে পারছিনা। বর্তমানে অভিভাবকরা বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে সম্পন্ন করে হুজুর ডেকে মোনাজাত করে মনে করছেন বিয়ে হয়ে গেছে। তবে এটি অবৈধ।