আমৃত্যু আওয়ামী লীগ করবো
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১০:১২ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আমি কাজ করেছি। আমি মনে করেছি ওই চেয়ারটা সকলের। অবশ্যই আমি দলের সমর্থনে এসেছি। আমি আওয়ামীলীগ করি আমৃত্যু আমি আওয়ামীলীগ করবো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমার জীবনে অন্য কিছু বলতে পারবো না। তারপরও যখন আপনি নির্বাচিত হয়ে যান, আপনি যখন একটি চেয়ারে বসেন, তখন কিন্তু সকাল মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। আপনি যখন একটি ড্রেন বা রাস্তা করবেন তখন সেই রাস্তা দিয়ে আওয়ামীলীগ, বিএনপি সবাই হেঁটে যাবে। এটাই ছিল আমার নীতিবোধ যে, আমি সকলের মেয়র। আমাকে সকলের জন্যই কাজ করতে হবে। আমরা রাজনৈতিক যে স্থান আছে সেখানে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার দলের কথা বলবো, দলের উন্নয়ন ও দলের প্রধানের কথা বলবো, মানুষকে আমি বুঝতে চেষ্টা করবো। কিন্তু যতক্ষণ আমি নগর ভবনে বসে থাকবো তখন অবশ্যই আমি সকলের জন্য কাজ করবো সেটা যেকেউ আসুক না কেন।
তিনি বলেন, ‘আমার শক্তির উৎস আমার জনগন। আমার সততা ও আমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা। অনেকে বলে পেশী শক্তি ও টাকা না হলে সারা বাংলাদেশে রাজনীতি করা যায় না। এটা সত্য। তবে আমি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন একটি উদাহরণ হয়ে গেছি। এখানে টাকা ছাড়াও কাজ করা যায়। ঘুষ ছাড়াও কাজ পাওয়া যায় এবং মানুষকে ভালোবেসেও কাজ করা যায়। সব থেকে বড় বিষয় হলো একজন রাজনীতিবিদের প্রতিজ্ঞা। আপনি যে প্রতিজ্ঞা করবেন জনগনের কাছে সেটা রক্ষা করতে হবে। আর রাজনীতিবিদরাই পারে এ কাজগুলো করতে। সেটা সম্ভব আর সম্ভব হয়েছে বলে আবার নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় বারে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু প্রচুর ভাঙচুর করেছি। যেটা পারি না সেটা মানুষের মুখের উপরে না করে দেই আমি এ কাজটি করবো না, এ কাজটি আমি পারবো না, পারলে করবো। তাহলে পাবলিক ঠিকই ভোট দিচ্ছে। তার মানে কি, পাবলিক আপনার কাছ থেকে সত্যি কথা শুনতে চায়। পাবলিক সঠিকটা জানতে চায়। আপনি যেটা পারবেন সেটা বলেন আর যেটা পারবেন না সেটা না বলে দেন। এটাই চায় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে মানুষ।
ক্ষমতার চেয়েরা বসলে মানুষ বদলে যায়? জবাবে তিনি বলেন,‘এটা যে কিছ ুকিছু ক্ষেত্রে যে হয় না তাতো না, হয়। তবে আমি মনে করি এটা সবার ক্ষেত্রে না। রাজনীতিবিদরা যতটুকু পারে ততটুকুই মানুষের কল্যানে কাজ করে। সে যতই খারাপ হোক না কেন। সে যেই দলেরই হোক তাও পাবলিকের পাশে এসে দাঁড়ায়। যদি কোন দূর্যোগ বা সমস্যা সৃষ্টি হোক সবার আগে রাজনীতিবিদকেই পাশে পাওয়া যায়। হয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার না হয় চেয়ারম্যান কিংবা পৌরসভার চেয়ারম্যান বা মেম্বারকে পাবেন অথবা এমপির লোকজনকে পাবেন। ঘুরে ফিরে রাজনীতিবিদরাই সবার আগে মানুষের পাশে ছুটে যায়। এখন মানুষের নীতিবোধ আলাদা। একেকটা মানুষ একে ভাবে কাজ করে। এজন্য আমাদের দেশে দলাদলী লেগে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি কোন চ্যালেঞ্জকেই বড় করে নেইনি। দলের ভিতরে কোন্দল বা উপদল থাকবেই। সারা বাংলাদেশেই বড় বড় দলগুলোর মধ্যে আছে। আমি চেষ্টা করি সেখান থেকে নিজেকে একটু আড়াল করে নিতে। অর্থাৎ এ মুহূর্তে আমার এটা দরকার নেই আমি আরেকজনকে জায়গা করে দিয়েছি। কখনো দলের পদ পদবীর জন্য কারো সঙ্গে ঝগড়া করা বা কারো সাথে লাগা বা আমাকে ওইটা নিতেই হবে বা চাইতেই হবে দিতেই হবে এরকমটা আমার সঙ্গে হয়নি। আমি পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত আমি সর্বসাধারণের জন্যই ব্যস্ত থেকেছি।’
বেসরকারী টেলিভিশন দীপ্ত টিভির এক টক শো অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী এসব কথা বলেন।