রাজউকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪ তালার বেশি ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না- রাজউকের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারর্স অ্যাসোসিয়েশন। ১৬ জানুয়ারি শনিবার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা গণস্বাক্ষর কর্মসূচিটি পালন করে।
নারায়ণগঞ্জ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাসির হায়দার চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ পারভেজ, এসএম পাবেল, জাহাঙ্গীর আলম, জেনারেল সেক্রেটারি গোলাম সারোয়ার সাঈদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি সাহাবুদ্দিন তালুকদার, অর্গানাইজার সেক্রেটারি মাকসুদুর রহমান জাবেদ, ট্রেজার রিজন মেহেদী, সদস্য আবুল কালাম আজাদ, গোলাম মাওলা প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট হারুণ অর রশিদ বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হবো। ওনাকে আমরা বুঝাবো যে যার ৭টি সন্তান সেখানে একটি বাড়িতে ৭টি সন্তান থাকতে পারবে কি না? আমার মনে হয় রাজউকের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন না। তাঁকে নিশ্চয় ভুল বুঝানো হয়েছে। জানা থাকলে তিন চার তলা ভবনের উপরে পারমিশন দেওয়া হবে না এই সিদ্ধান্তের পারমিশন দিতেন না।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাসির হায়দার চৌধুরী বলেন, রাজউক তিন থেকে চার তালা এর বেশি বড় ভবন নির্মাণের পারমিশন দিবে না। যদি তিন চার তলার উপরে পারমিশন না দেয় এই লোকগুলো যাবে কোথায়? নারায়ণগঞ্জ সব থেকে ঘনবসতির শহর। জায়গার তুলনায় মানুষ অনেক বেশি। যদি বহুতল ভবন নির্মাণ করতে না দেয় তাহলে এই লোকগুলো যাবে কোথায়? যদি গ্রামে যায় কৃষি জমি নষ্ট হবে। এই বিষয়ে খেয়াল করা দরকার।’
জেনারেল সেক্রেটারি গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, ‘আজকে আমরা যে আয়োজন করেছি। এটা রাজউকের দায়িত্ব ছিল জনগনকে জানানো। কথা ছিল জনগনের উপস্থিতি ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিৎ করা। কিন্তু রাজউক করোনাকালীন সময়ে ৬০ দিনের কার্যক্রম করেছে অফিসে বসে। ওই গণশুনানি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রাজউক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাঁদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তিন তালা চার তালার উপরে বাড়ি করতে না দিলে মানুষ থাকবে কোথায়। তাঁরা উত্তর দিয়েছে যে শহরের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু শহরের বাইরে যদি গ্রামে চলে যায় সেখানে কোথায় থাকবে? কৃষি জমিতেই তো বাড়ি করবে। কৃষি জমি তো রক্ষা হবে না। যদি গ্রামে থাকতে হয় তাহলে যারা চাকরি কের তাঁরা অল্প সময়ে শহরে আসতে পারবে কিনা আবার অফিস শেষে বাসায় যেতে পারবে কিনা। ট্রাফিকের সেই উন্নয়ন হয়েছে কিনা। তাঁরা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্যান্য সবকিছু ঢাকায় রেখে মানুষকে গ্রামে থাকতে বলবেন সেটা হবে না।’
উল্লেখ্য, এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ১৭ জানুয়ারি বন্দর ঘাট, ১৮ জানুয়ারি ২নং রেল গেইট, ১৯ জানুয়ারি চিটাগাং রোড এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে।