অভিমানের আত্মহত্যা থেকে বিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার
|| নিউজনারায়ানগঞ্জ২৪.নেট ০১:০১ এএম, ১ জানুয়ারি ২০১৫ বৃহস্পতিবার

‘পরিবারের লোকজন প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার কারণে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল প্রেমিকা শাপলা বেগম। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হলেও বিয়েতে কোনভাবেই রাজী হচ্ছিল না প্রেমিক শাহীন মিয়ার পরিবার। শেষতক অনেক বৈঠকের পর সমঝোতায় বিয়ে হলো তাদের। শুরু হলো নতুন সংসার।’
বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁদমারী এলাকাতে মাদক স্পট উচ্ছেদ করে নির্মিত ‘গাউছুল আজম স্কুল ও কারিগরি ইন্সটিটিউট এ আড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের পর ঘণ্টাব্যাপী চলে নৃত্য ও গান। বস্তির ছোট ছোট শিশুরা শাপলা ও শাহীনের বিয়ে অনুষ্ঠানে নেচে গেয়ে আনন্দ করেন। গান গেয়ে মাতোয়ারা করে তুলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক রোমান চৌধুরী সুমন।
বিয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা সদর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজম জানান, শাহীন ও শাপলা শহরের উকিলাপাড়া এলাকায় একটি হোসিয়ারিতে কাজ করতো। পরিবারের লোকজন সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শাপলা মন কষ্টে ট্রেনের নীচে আত্মহত্যা করতে যায় ইসদাইর বাজার রেললাইনে। সেখান থেকে ইসদাইর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ছিদ্দিুকর রহমান শাপলাকে বুঝিয়ে নিয়ে আসেন তার ক্লাবে। শাপলার মুখে সব কথা শুনে সমাজসেবক ছিদ্দিক খবর দেন প্রেমিক শাহীনকে। শাহীন ক্লাবে এসে প্রেমিকা শাপলাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সাথে জানায় তার পরিবারের বাধার কথা। ছিদ্দিক পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে দু পবিবারের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। এরপরেই শুরু হয় দুজনের বিয়ের প্রস্তুতি।
ইসদাইর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান জানান, মেয়েটি ও ছেলেটির বিয়ে হয়েছে এটাই আমার আনন্দ। দুজনে সুখে শান্তিতে সংসার করুক।
