নারাণগঞ্জে মিনি কক্সবাজার!
|| নিউজনারায়ানগঞ্জ২৪.নেট ০১:০১ এএম, ১ জানুয়ারি ২০১৫ বৃহস্পতিবার

বিশাল মেঘনা নদীর জলরাশি। ওই কূল ঠিকমত দেখা যায় না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা বালুর তীরে এসে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। অনেকটাই কক্সবাজারের বিশাল সমুদ্র সৈকতের আবহ। আর এ কারণেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপচেজলার বিশনন্দী মেঘনা পাড়ের এলাকাটি এখন মিনি কক্সবাজার হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভীড় করছে এ স্থানে।
বিশেষ করে ঈদুল আযহার ছুটির দিনগুলোতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছুটে যাচ্ছে বিশনন্দী ফেরীঘাটে। ঈদের দিন থেকেই এখানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। ঈদের দুপুর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ফেরীঘাট এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার নারী ও পুরুষ ভীড় করছে ফেরীঘাট দেখতে। সাথে রয়েছে শিশুরা ও নারীরাও। কোন কোন লোক তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপভোগ করছে ফেরীঘাটের মনোরম দৃশ্য। আড়াইহাজার উপজেলায় কোন পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন এর স্থান না থাকায় ফেরীঘাট দেখেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করছে উপজেলাবাসী।
শুধু আড়াইহাজার বাসী নয় পাশের জেলা নরসিংদী, মধাবদী, শিবপুর, রায়পুরা, সোনারগাও, রুপগঞ্জ থেকেও মানুষ আসছে এখানে। ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করছে লোকজন।
ঢাকা থেকে দুরত্ব মাত্র ৪৩ কিলোমিটার। এই স্থানটি সরকারী ভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা না দিলেও দর্শনার্থীদের কাছে বিশনন্দী ফেরী ঘাট এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। একটু উদ্যোগ নিলেই এই স্পটটি হতে পারে একটি চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র। গত বছর বাঞ্ছরামপুর ও আড়াইহাজার উপজেলার সেতুবন্ধন বিশনন্দী- কড়ইকান্দি ফেরী চালু হওয়ায় পর থেকে দর্শনার্থীদের উৎসাহ আরো বেড়েছে। এক পশলা বৃষ্টির পর রোদ উঠলেই বালুর উপরিভাগে বিন্দু বিন্দু জল আলোকিত হয়ে উঠে মুক্তোর দানার মত। এদৃশ্য নিজ চোখে দেখার জন্য বিশনন্দী-কড়ইকান্দি মেঘনা নদীর তীরে নির্মিত ফেরী ঘাট ও তার আশপাশ এলাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসে। এখানে এসে নিজেদের আপন ঠিকানা যেন খুঁজে পেতে চায় ।
আড়াইহাজার থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী শফিউল আজম লিটন জানান, বিশনন্দী ফেরীঘাট চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান। সরকার যদি ব্যবস্থা করে আরো সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ জানান, বিশনন্দীর মেঘনা ঘাট সত্যি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যাত্রী ছাউনি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিশেষ করে নিরাপত্তার কারণে অনেক দুর দূরান্ত থেকে লোকজন আসতে চায়না নিরাপত্তার কারণে।