রূপগঞ্জ বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত
|| নিউজনারায়ানগঞ্জ২৪.নেট ০১:০১ এএম, ১ জানুয়ারি ২০১৫ বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এখন তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়ি উপজেলার তারাব পৌর এলাকায়। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের বাড়িও উপজেলার তারাব পৌর এলাকায়। যুবদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর বাড়ি উপজেলার ভুলতা, মুড়াপাড়া ও গোলাকান্দাইল এলাকায়। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ একক মালিকানাধীন পাইকারী কাপড়ের গাউছিয়া মার্কেটের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এটিও রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় অবস্থিত। নারী, বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টানেই বিএনপির এ শীর্ষ তিন নেতার নজর রূপগঞ্জের দিকে। তারা তিনজনই রূপগঞ্জে সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন।
ইতিমধ্যে যুবদলের কেন্দ্রিয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু রূপগঞ্জে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিগত দিন থেকেই সভা, সমাবেশ, মিছিল, পিকেটিং করে দিপু ভুঁইয়া ও তার সমর্থিত লোকজন কেন্দ্রেও আলোচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে কাজী মনিরুজ্জামান রূপগঞ্জে কোনো কার্যক্রম না করায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। ফলে এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের পাল্লাও কিছুটা ভারী হচ্ছে। তবে রূপগঞ্জে তৈমূরের জনপ্রিয়তা এখন সবচেয়ে কম। বিশেষ করে তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় দলীয় কর্মকান্ডে বেশি সময় ব্যয় করছেন।
রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একাধিকভাবে বিভক্ত হয়ে রূপগঞ্জ এখন ত্রি-ধারার রাজনীতি চলছে। এখানে দিপু ভুঁইয়া শক্ত অবস্থানে থাকলেও তৈমূর আলম খন্দকারের অবস্থান ভাল। কাজী মনিরুজ্জামান বয়সের ভারে এখন ন্যূজ্ব। দলীয় কর্মকান্ডে সময় না দেয়ায় তাঁর অবস্থান ভাটা পড়ছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম ফারুক খোকন জানান, রূপগঞ্জে মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া এখানে ভুলতা, গোলাকান্দাইল ও মুড়াপাড়ায় তাঁর বাড়ি রয়েছে। ব্যবসা রয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে। ফলে এখানে দিপু ভুঁইয়ার একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। কাজী মনিরুজ্জামানের জন্মস্থান তারাব এলাকায়ও দিপুর জনপ্রিয়তা বেশি।
যুবদলের কেন্দ্রিয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু বলেন, রূপগঞ্জ বিএনপিতে তেমন কোনো কোন্দল নেই। আর বড় দলে কোন্দল থাকতেই পারে। পূর্বের সকল কোন্দল ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, এখনো আন্দোলনের সময় আসেনি। দলের নির্দেশ পেলেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তৈমূর খন্দকার বলেন, জেলার সকল কোন্দল নিরসন করা হচ্ছে। রূপগঞ্জ বিএনপি একাধিক ভাগে বিভক্ত থাকলেও সময় মতো এক হয়ে যাবে।