শাহেনশাহ ভাবাচ্ছেন কাউন্সিলর মুরাদকে

সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০১:২৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

শাহেনশাহ ভাবাচ্ছেন কাউন্সিলর মুরাদকে

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ দিনে দিনে বাড়ছে। এর মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বন্দর অঞ্চলের নাসিক ২০নং ওয়ার্ডকে কোটি টাকার ওয়ার্ড আলোচনায় নিয়ে এসেছে প্রার্থীর সমর্থকরা। এই ওয়ার্ডের প্রার্থীর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে দিনে দিনে। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ। তার সাথে হেভিওয়েড প্রার্থী হিসেবে চলতি বছরের থেকে মাঠে নেমেছেন তারই চাচা সদ্য আওয়ামীলীগের যোগদানকারী শাহেন শাহ। এর মধ্যে তাদের দুইজনের মধ্যে একজনকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য এলাকার কয়েকজন বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উভয় পরিচিতি লিকু।

২২ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম্মা চলাকালে তিনি এমনতা ঘোষনা দিয়েছেন বলে মুসল্লীরা জানিয়েছেন।

দুইজনেই রাজনীতিতে বিএনপি ও ছাত্রদল থেকে এই বন্দরে পরিচিতি রয়েছেন। শাহেনশাহ বন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন, অপর দিকে গোলাম নবী মুরাদ ছিলেন আবুল কালামের পন্থী হয়ে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ আমলে নাসিক নির্বাচন-২০১৬ সালে তৎকালীন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হন গোলাম নবী মুরাদ। তখন তারপরে অবস্থানে ছিলেন শাহেনশাহ।

মুরাদ ও শাহেনশাহ কয়েকজন সমর্থকের সাথে আলাপকালে জানান, নাসিক নির্বাচন-২০১৬ সালে গোলাম নবী মুরাদ নির্বাচন করবে না বলে বিদেশ চলে যান। তখন খালি মাঠে গোল দেয়া প্রায় প্রস্তুত ছিলেন শাহেন শাহ ও তৎকালীন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। কিন্তু বড় ভাইয়ের চাপে বিদেশ থেকে দেশে এসে মনোয়নপত্র জমা দেন গোলাম নবী মুরাদ। তখন সকল প্রার্থী মধ্যে গোলাম নবী মুরাদের আলোচনা ছিলেন বেশি। কারণ জয়ী হওয়ার জন্য ভোটারদের যা প্রয়োজন তিনি দিতে প্রস্তুত। ভোটারদের চাহিদা মিটিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন গোলাম নবী মুরাদ। ভোটার ও নেতাদের খুশি করতে না পারায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যান শাহেন শাহ ও চতুর্থ হন তৎকালীন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন।

কয়েক সমর্থকেরা জানান, গোলাম নবী মুরাদ কাউন্সিলর হতে প্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু এমন সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

শাহেন শাহ সমর্থকরা জানান, শুধু গোলাম নবী মুরাদ নন কোন প্রার্থীকে সুযোগ দিতে চায় না আসন্ন নির্বাচনে। ভোটারদের যাহা প্রয়োজন শাহেনশাহ তা পূরণে পুরো প্রস্তুত। ইতোমধ্যে তিনি এমপি সেলিম ওসমান এবং বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদের কাছে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগের যোগদান করেছেন। তার সমর্থকদের ছবি দিয়ে ফেস্টুন সাটানো হয়েছে। বিভিন্ন সরকারী ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতি শুক্রবার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও মিছিল করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ রহমতে এবার বিজয় শাহেন শাহ হবেন।

এর মধ্যে আওয়ামীলীগের সমর্থন চেয়ে প্রার্থী হয়েছেন শহীদ মৃধা, ডাক্তার শফিউল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে সোনাকান্দা রয়েছেন গোলাম নবী মুরাদ, শাহেন শাহ ও শহীদ মৃধা। বেপারীপাড়ায় পরিচিত রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, দড়ি সোনাকান্দা ফরাজীকান্দায় পরিচিত ডাক্তার শফিউল্লাহ। প্রার্থী তালিকা অনেকে থাকলেও তাদের এলাকায় তেমন পরিচয় নন বলে, হেভিওয়েড প্রার্থী হিসেবে শাহেন শাহ ও গোলাম নবী মুরাদের ভোটার মধ্যে আলোচনা শীর্ষে।

শুক্রবার জুম্মা নামাজ চলাকালে সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও অপর প্রার্থী শাহেন শাহ উপস্থিতিতে তাদের মধ্যে সমঝোতা বার্তা নিয়ে বৈঠক করবে এলাকার গুনিজন। এমন বার্তা যখন মাইকে বলেন উভয় প্রার্থীর ঘনিষ্টজন লিকু, তখন মুসল্লীদের নিরর্বতা দেখা দেয়। পরে নামাজ শেষে মসজিদের বাহিরে আলোচনা সৃষ্টি হলেও তেমন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

এলাকার সূত্রে জানা গেছে, গোলাম নবী মুরাদ ও শাহেন শাহ যদি বৈঠকে বসে-তাহলে পাল্লা ভারী থাকবে শাহেন শাহ। কারণ, মুরাদ বর্তমান কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এবার শাহেন শাহকে সুযোগ দেয়ার জন্য তার প্রতি থাকবে বৈঠকের প্রধান মূল বার্তা।


বিভাগ : মহানগর


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও