হাতপাখার প্রার্থীকে রক্তাক্ত বাদলপুত্র সহ আসামী ১৫০

স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১১:৫৭ এএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

হাতপাখার প্রার্থীকে রক্তাক্ত বাদলপুত্র সহ আসামী ১৫০

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওমর ফারুককে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখানকার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন সহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে আরো দেড় শ জনকে। ৩১ অক্টোবর রোববার দুপুরে ওমর ফারুক বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে এদিন সকালে শহরের চাষাঢ়ায় বিক্ষোভ করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে সাজনকে গ্রেপ্তারের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।

জানা গেছে, এবার কাশীপুর ইউনিয়নে হেভিয়েট প্রার্থী ছিলেন মোমেন সিকদার যিনি সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে এমপি শামীম ওসমান এবার নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেন। পরে বাদলের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ান ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম। তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর রীতিমত রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় বিনা ভোটের চেয়ারম্যান বাদলের। চাররাত নির্ঘুমের পর আশেপাশের লোকজনের মধ্যস্থতায় নির্বাচন থেকে সরে আসেন রাশেদ। কিন্তু তবুও চিন্তা দূর হয়নি। বাদল চেয়েছিলেন ভোটে কেউ না থাকুক গত নির্বাচনের মত। কিন্তু বাধ সাধেন ইসলামী আন্দোলনের ওমর ফারুক। হুমকি চাপের পরেও তিনি নির্বাচন থেকে সরেনি।

আহত ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর নিজ বাড়ির সামনে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে স্থানীয় ৫ থেকে ৭জন মুরব্বীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওইসময় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন শতাধিক মোটরসাইকেলে তার অনুগামীদের নিয়ে এসে আমার ক্যাম্পে আসে। বাদলের ছেলে সাজন আমার কাছে এসে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এ সময় আমিও হ্যান্ডশেক করি। সে মুহূর্তের মধ্যেই হাত সরিয়ে নিয়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। এর পর তার ছেলে সাজন বলেছে, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া, এখনো সময় আছে। নয়তো মরতে হবে বলে আমার সঙ্গে থাকা আলমগীর, আল আমিন, মামুন ও সিরাজুলসহ আরও কয়েকজনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে ক্যাম্পটি ভেঙে চলে যায়। এরও আগে থেকে বাদল নির্বাচন থেকে আমাকে সরে যেতে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। মারধর করে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এঘটনায় রোববার দুপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল্লাহ বাদলের ছেলে সাজনসহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ জনের বিরুদ্ধে হাত পাখা প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।



নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও