তুমুল প্রতিবাদে জেলা বিএনপিতে রাজীবকে অন্তর্ভুক্ত
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৩:৩১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে।
২৪ জানুয়ারী দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ চিঠিতে এ নাম অন্তর্ভুক্তের বিষয়টি জানান। আর এর মধ্য দিয়ে জেলা বিএনপিতে ৪১ সদস্যের সঙ্গে আরো একজন যুক্ত হয়ে ৪২ সদস্যে উপনীত হলো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১ জানুয়ারী জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর রাজীবের নাম না থাকায় সকল স্তরের নেতাকর্মীরা তুমুল প্রতিবাদ ও কড়া ভাষায় নিন্দা জানান।
গেল কমিটিতেও সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের সাথে রাজপথে কর্মসূচী পালন করতে একাধিকবাদ বাদানুবাদ হয় রাজীবের। কোন অলিগলিতে জেলা বিএনপির মত একটি জনবান্ধব সংগঠনের কর্মস‚চী করতে অনীহা প্রকাশ করে রাজপথে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মস‚চী পালনের পক্ষে ছিলেন তিনি। এ কারণে জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে বনিবনা হতনা তার। তাই অন্যরা না নামলেও নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকতেন রাজীব।
এছাড়া দলের পক্ষে কাজ না করে পদ নিয়ে বসে থাকার বিরুদ্ধে কথা বলা, নেতাকর্মীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া, কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান দেয়া নিয়েও সিনিয়রদের সাথে একাধিকবার বাদ সাধে তার। তিনি নিজে পদ পদবি পেয়ে দলীয় কর্মস‚চী রাজপথে করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সব সময় প্রস্তুত থাকলেও এতে সম্মতি আসতোনা সভাপতি সম্পাদকদের।
১ জানুয়ারি কমিটির কাগজ তৈমুর আলম খন্দকারের হাতে তুলে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কমিটি অনুমোদন করেন।
৪১ সদস্যের কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে যিনি এখন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সেক্রেটারী ও সভাপতি পদেও ছিলেন তৈমূর। সদস্য সচিব করা হয়েছে সবশেষ কমিটির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে যিনি জেলা যুবদলের দীর্ঘ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
৭ জন যুগ্ম আহবায়করা হলেন মনিরুল ইসলাম রবি, নাছির উদ্দিন, আব্দুল হাই রাজু, লুৎফর রহমান আবদু, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা।
সদস্যরা হলেন খন্দকার আবু জাফর, নজরুল ইসলাম টিটু, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, শরীফ আহমেদ, মাহমুদুর রহমান সুমন, মোশারফ হোসেন, বশির উদ্দিন বাচ্চু, হাজী সেলিম, মোশারফ হোসেন (সোনারগাঁ), আশরাফুল হক রিপন, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবু, দুলাল হোসেন, কাশেম ফকির, ইউসুফ আলী ভ‚ঁইয়া, আব্দুল আজিজ মাস্টার, এম এ হালিম জুয়েল, গুলজার হোসেন, শাহ আলম হিরা, নুরুন্নাহার বেগম, একরামুল কবির মামুন, শাহ আলম মুকুল, মোস্তাকুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম, রহিমা শরীফ মায়া, রুহুল আমিন, কামরুজ্জামান মামুন, হামিদুল হক খান, বাকির হোসেন, আল মুজাহিদ মল্লিক, জুয়েল আহমেদ।