নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হক সহ আসামী ৭৮০
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৬:৫০ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারী সহ রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধের ঘটনায় নাশকতা ও সহিংসতায় তাঁকে আসামী করে মামলা হয়েছে। একটি মামলায় তাকে প্রধান আসামী করা হয় যেখানে জ্ঞাত ৪১ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরো ৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক আরো দুটি মামলা হয়েছে।
তিন মামলার মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। তিনটি মামলায় ১০০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৭ এপ্রিল বুধবার সোনারগাঁও থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলা ঘটনায় ভাটিকান্দি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মোস্তফাকে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে। এ মামলায় বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত ৩ এপ্রিল মামুনুল হককে নারী সহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় তুলকালাম কান্ড ঘটে। সন্ধ্যা ৭টায় মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা রিসোর্টের প্রধান ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করতে শুরু করে। এসময় রিসোর্টের বাইরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আর একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী উপজেলার মোরগাপাড় মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাশ, কাঁঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সকলের হাতে লাঠিসোটা, রড। একে একে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নুর বাড়ি, গাড়ি, চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। বাদ পড়েনি দোকানও। রাতের আঁধারে ওই ভাঙচুরের পরে রোববার দিনের আলোতে সেই ধ্বংসলীলা দেখে তাজ্জব সেখানকার লোকজন। তারাও বুঝতেও পারেনি রাতের আধারে কিভাবে এ নৃশংস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে গøাস ভাঙচুর করে। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।