শহর মহড়া দিলেন পলাশ : শোক র্যালিতে উল্লাস
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:০৬ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার

শোক দিবসের কর্মসূচীতে আনন্দ উল্লাস আর বাদ্য বাজনা বাজানো হলো। সারি সারি ট্রাকে করে আনা হলো মানুষ। ওইসব ট্রাকেই ছিল নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র। ফতুল্লার পাগলা থেকে শুরু হয়ে ওই ট্রাকগুলো এসেছিল শহরেও। চাষাঢ়া হয়ে দুই নং রেল গেট ঘুরে ফের চলে যায় ফতুল্লায়। শহরে সৃষ্টি করে দিয়ে যানজট। ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে ওই কান্ড ঘটান শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ ও তার অনুগামীরা। তবে এর আগেও তিনি একই ধরনের কান্ড একাধিকবার করেছেন।
জাগো নারায়ণগঞ্জের সংবাদে বলা হয়, শোক র্যালীর নামে বেশীরভাগ ট্রাকে ছিলো মাইক এবং ২/১টি ট্রাকের মধ্যে ছিলো সাউন্ড সিষ্টেম। যেখানে সাউন্ড সিষ্টেমে ছিলো বঙ্গবন্ধুর ভাষন আর মাইকগুলোতে ছিলো বিভিন্ন প্রকার শ্লোগানমুখর। আর ট্রাকের সামনে ছিলো অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি মটরসাইকেল।
‘জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু! পলাশ ভাইয়ের ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই ! দুনিয়ার মজদুর এক হও এক হও! তোমার ভাই আমার ভাই পলাশ ভাই পলাশ ভাই!’ সহ নানা ধরনের স্লোগান ছিল।
অথচ আয়োজনটি ছিলো শোকের মাসে শোক র্যালী যেখানে থাকবেনা কোন শ্লোগান, থাকবেনা কোন উল্লাস, থাকবে শুধুমাত্র মৌনতা। কিন্তু প্রতিটি ট্রাকেই কর্মীদের হাতে ছিলো লাশ নিশান অবশ্য কিছু কিছু কর্মীর হাতে শোকের সেই কালো নিশানটিও দেখা যায়।
কাউসার আহমেদ পলাশের নেতৃত্বে যখন পাগলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকগুলো চাষাড়া ক্রস করে ডিআইটি মুখী হয় তখন শহীদ মিনার ও সড়কে অবস্থান করা প্রতিটি মানুষের দৃষ্টিকাড়ে শোকের র্যালীর পরিবর্তে পলাশের আনন্দ র্যালীটি। সাধারন মানুষের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীও এটাকে কটু চোখে অবলোপন করেন। অনেকেই পলাশের এ আয়োজনটি একটি বিজয় বা আনন্দ মিছিল মনে করেন। কারন শোকের কোন র্যালীতে কোন শ্লোগান থাকেনা থাকে সুনশান নিরবতা। কিন্তু তার পরিবর্তে এখানে হলো সম্পুর্ন উল্টোচিত্র।
আবার অনেকে বলেন, পলাশ একজন বিচক্ষন রাজনীতিবিদ। তিনি তো জানেন কোথায় কি প্রয়োজন হয়। একটি শোকের র্যালীতে তার নেতৃত্বে কিভাবে এত শ্লোগানমুখরিত হয়ে কর্মীরা আনন্দ উল্লাস করেন। আবার সেই শোক র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কাউসার আহমেদ পলাশের মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, ভাই আমি অসুস্থ মানুষ আমি এখন হসপিটালে যাচ্ছি। যারা শ্লোগান দিয়েছে আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন।