জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত তৈমূর

সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৪ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত তৈমূর

জন্মদিনে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৯ অক্টোবর ৬৮ বছর শেষ করে ৬৯তে পা দিয়েছেন তৈমূর। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তৈমূরের সঙ্গে দেখা করে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ফাস্ট ক্লাস পান তৈমূর। ৬৯ সালে তোলারাম কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হয়। এ কলেজে পড়াশোনা কালে সংগঠক হিসেবে নিজেকে জাহির করেন। মাসদাইরে প্রভাতী কল্যাণ সংস্থা, মুসলিম একাডেমী করার পাশাপাশি দিনমজুরদের বিভিন্ন সংগঠনও শুরু করেন। ঠেলাগাড়ি, ভ্যান গাড়ি, রিকশা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ শুরু করেন তৈমূর। কলেজ জীবনেই বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার সঙ্গে ঘনিষ্টতা হয় তৈমূরের। ওই সময়ে চুনকার আশেক হিসেবেই পরিচিতি পান।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ৭৪ সালে ডিগ্রী পরীক্ষায় সেকেন্ড ক্লাস পায়। পরে তৈমূর ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জ ল কলেজে। এ কলেজ থেকে ৭৬ সালে ল পাশ করে ৭৮ সালে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮২ সালে ঢাকার মগবাজার এলাকার হালিমা ফারজানার সঙ্গে বিয়ে হয় তৈমূর আলম খন্দকারের। ৮৪ সালে তৈমূর চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে ব্যারিস্টার পড়াশোনা করে ৩পার্টের মধ্যে পার্ট ১ ও ২ শেষ করেন।

৮৫ সালে দাদা তোরাব আলী মাস্টার মারা গেলে তৈমূর দেশে ফিরে আসলে আর বিলেতে যাওয়া হয়নি। তৈমূর আলম খন্দকারের ২ মেয়ে।

১৯৯৬ সালে তৈমূর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও শামীম ওসমানের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।

ওই সময়ে শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হল মিলনায়তনের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন করে আওয়ামী লীগ যার তীব্র বিরোধীতা করেন তৈমূর। একই সময়ে সাবেক এমপি আবুল কালাম নিস্ক্রিয় হলে তৈমূরকে সে সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ দেওয়া হয়।

শহরের শায়েস্তা খান সড়কে তৈমূরের চেম্বার থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় থেকে হাইকোর্টে আইন পেশা চালিয়ে যান তিনি। ওই সময়ে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাইকোট থেকে গ্রেপ্তার হয়ে রাজনীতিতে আলোচনায় ওঠে আসেন।

১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি মিছিলে গুলি করে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। ওই মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। ঢাকায় অবস্থান করাকালীন ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা ঘটনায় তৈমূর আলমকে আসামী করা হয়।

২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামাত জোট সরকার তৈমূর আলম খন্দকারকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বানায়।

নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করার জন্য সরকারের নিকট তিনি সর্বপ্রথম বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে “নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন” গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করেন। ২০১১ সনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিধন্ধিতা করার জন্য বিএনপি মনোনয়ন প্রদান করলেও নির্বাচনের মাত্র ৫ ঘন্টা পূর্বে খালেদা জিয়ার নির্দেশে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।


বিভাগ : রাজনীতি


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও