প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন দিপুর
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:১৩ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি নবী প্রেমের জন্য। তার জন্য আজকে আমরা সারা বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করতে পারছি। নবী করিম (সাঃ) মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ। তাকে রহমাতুল্লিল আলামীন বলা হয় মানে তিনি জগতের রহমতস্বরূপ। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াত থেকে আলোর জগতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। নিজস্ব কর্মপন্থার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাকে উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন।
‘‘হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) :একটি মানবিক পৃথিবী’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
২০ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আলোর মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আনিসুর রহমান দিপু বলেন, মানবিক বিশ্বে মানবিক নেতার দরকার। আমাদের নবী করিম (সাঃ) বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। নবী করিম (সাঃ) সবসময় শান্তির পক্ষে ছিলেন এবং সমঝোতার পক্ষে ছিলেন। হুদায়বিয়ার সন্ধিতে বিধর্মীরা আল্লাহর রাসূল লেখার ব্যাপারে আপত্তি জানালে তিনি আল্লাহর রাসূল বাদ দিয়েছিলেন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। আইনের দৃষ্টিতে সকলের সম বিধান পাওয়ার অধিকার সেটা প্রথমে মদিনা সনদে লেখা হয়। বিধর্মীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করা যাবে না। নবী বলেছেন যে বিধর্মীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করবে কেয়ামতের ময়দানে তার পক্ষে সুপারিশ করবেন না।
তিনি আরও বলেন, নবী করিম (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে ছিলেন আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, এসময় একজন ইহুদি মসজিদে প্রশ্রাব করে দেয়। তখন সাহাবীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। কেউ তরবারি বের করেছিলেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, শান্ত হও। তাকে কাজ করতে দাও। কাজ শেষ হয়ে গেলে পরিস্কার করে দিও। তিনিই ছিলেন আমাদের নবী করিম (সাঃ)। নবী বলেছেন, বিনয়ী হও সংযত হও। তোমাদের পাঠানো হয়েছে বিনয়ী হওয়ার জন্য সংযত হওয়ার জন্য। ইসলাম প্রচারের জন্য। ইসলাম শান্তির ধর্ম।
দিপু বলেন, মদিনা সনদে আছে একজনের অপরাধের জন্য অন্য কাউকে বা তার সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। আজকে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে আমার বিশ্বাস কোনো হিন্দু বা কোনো মসুলমান এ ঘটনা ঘটায় নাই। কোনো কুচক্রী মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদি কোনো হিন্দু করে থাকে তাহলে মন্দিরে আঘাত করার অধিকার নবী করিম (সাঃ) কাউকে দেয় নাই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। নিশ্চয়ই শান্তির দূত হচ্ছেন নবী করিম (সাঃ)। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তোমরা অন্যের প্রভুকে গালি দিওনা। তাহলে তারা আবেগপ্রবণ হয়ে তোমার আল্লাহকে গালি দিবে। এই হচ্ছে ইসলামের বিধান। আজকে সমাজে যখন হানাহানি যখন ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি চলছে এই সময়ে যদি আমরা নবী করীম (সাঃ) আদর্শ মেনে চলতে পারি তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে এবং বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে।
আলোর মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ও বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আবদুন নূর দুলাল।