প্রধানমন্ত্রীকে কায়সারের নালিশ : হাই বাদলের অনিয়ম দুর্নীতি

খবর : প্রথম আলোর। || ১২:৫৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

প্রধানমন্ত্রীকে কায়সারের নালিশ : হাই বাদলের অনিয়ম দুর্নীতি

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার ২২ অক্টোবর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন এই দুই নেতা। খবর : প্রথম আলোর।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সারের ভাষ্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে গত ১৬ ও ১৮ অক্টোবর সোনারগাঁ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা হয়। এ সভায় তৃণমূলের মতামত নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদের কাছে পাঠানো হয়।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা আওয়ামী লীগ সভা করে সব সদস্যের মতামত নিয়ে ওই তালিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর কথা। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলায় কোনো সভা না করেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

অভিযোগপত্রে আবদুল্লাহ আল কায়সার আরও বলেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হামিম শিকদার, সাদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থী নাসির উদ্দিনের নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। তাঁরা একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় তাঁদের নাম প্রথম দিকে ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতাদের নাম তালিকার পেছনে রেখে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নাম প্রথমে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আবদুল হাই ও আবু হাসনাত শহীদ অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ও ইউনিয়নের নেতাদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হামিম শিকদার অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে তালিকা পাঠিয়েছেন। তাঁদের পদ থেকে অপসারণের জন্য প্রয়োজনে আন্দোলনে যাওয়া হবে

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সভাপতি আবদুল হাইয়ের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বলেন, ‘আমরা কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নই। জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হয়েছে।’


বিভাগ : রাজনীতি


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও