জেলা যুবলীগে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নিপু মোহসীন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৫:১৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটির ঘোষণা আসতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আগামী নভেম্বরের মধ্যেই সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে হয়তো নভেম্বরের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব আসতে যাচ্ছে। আর এই নতুন নেতৃত্বে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া। বলা চলে যুবলীগের নেতৃত্বের সম্ভাবনায় তারা অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দুইজনেরই রাজনৈতিক ইতিহাসে রয়েছে স্বচ্ছ ইমেজ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলন করার জন্য ইতোমধ্যে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এদিন বিকেল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক রাসেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক লায়ন শাহীন মালুম উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সাথে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আল আমিন ও সাজু সাহা।
সভায় থানা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা থেকে শুরু করে জেলা শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। নেতারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাদের মতামত পোষণ করেন। একই সাথে এমপি শামীম ওসমান ও সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পরামর্শ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের দ্রুত সম্মেলন করার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেন সুব্রত পাল।
এদিকে জেলা যুবদলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া আলোচায় অন্য সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা নেতাকর্মী সমর্থকদের গুছিয়ে রেখেছেন। তাদের নিজস্ব বলয় রয়েছে। দায়িত্ব পেলে তারা রাজপথে নিজেদের স্বকীয়তার প্রমাণ রাখবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে অনেক আগে থেকেই পরিপক্ক হিসেবে যোগ্যতার পরিচয় বহন করে আসছেন এহসানুল হাসান নিপু। যিনি এর আগে বেশ সুনামের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সাথে অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়াও ইতোমধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বেশ যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। সে হিসেবে সাংগঠনিক বিবেচনায় তিনিও পিছিয়ে নেই।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে আবদুল কাদির সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৈরি সময়ে ওই সম্মেলনে ছিল আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের অবস্থান। এছাড়াও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জাকিরুল আলম হেলালকে করা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসিফ হোসেন মানুকে সহ-সভাপতি ও শাহ নিজামকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো কমিটির কমিটির দেখা মিলছিল না জেলা যুবলীগের।
তৎকালীন সময়ে জেলা যুবলীগের কমিটিতে পদে নেতারা অনেকেই মূল দলে ভিড়িয়েছেন। এদের মধ্যে শাহ নিজাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জাকিরুল আলম হেলালকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। একইভাবে অন্যদিকে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে স্থান পেয়েছেন।
ফলে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব দেয়ার মতো চলমান কমিটিতে অবশিষ্ট কেউই নেই। শীর্ষ পদে থাকা প্রত্যেককেই মূল দলে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। আর তাদের অনুপস্থিতে নতুন পদের প্রত্যাশায় রয়েছেন অনেক যুবলীগ নেতা।