কেউ কারো চেয়ারে বসাতে প্রস্তুত না
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১০:৪০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার

আওয়ামী লীগের এক সময়ে ডাকসাইটে নেতা ছিলেন কামাল মৃধা ২১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি বক্তব্য সম্পর্কে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, মেয়র আইভীকে ধন্যবাদ তিনি তার নিজ চেয়ারে কিংবা শামীম ওসমানের চেয়ারে বসার জন্য অন্য কাউকে প্রস্তুত হতে দেননি। কিংবা প্রস্তুত করেননি। শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ গত ১৮ বছরে মেয়রের চেয়ারে কিংবা নিজের আসনে বসার জন্য নিজে বা কাউকে প্রস্তুত করেননি। ক্ষমতা বা মসনদের ক্ষেত্রে এই দুই পরিবারের এমন চমৎকার আন্ডারস্ট্যান্ডিং দেখে আমি মুগ্ধ। নারায়ণগঞ্জের এমন কোন মাইকে লালের জন্ম হয় নাই এই দুই পরিবারের বাইরে গিয়ে সাহস করে এই পদে দাঁড়াতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি জ্যাম নিয়ে তটস্থ। রাস্তায় চলাচল করব কিভাবে?
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগের এক সময়ে ডাকসাইটে নেতা ছিলেন কামাল মৃধা। তাঁর উপর বয়ে গেছে নানা ঘাত প্রতিঘাত। নারায়ণগঞ্জ থেকে আমেরিকা হয়ে আবারো প্রাচ্যের ডান্ডির শহরে। চালাচ্ছেন বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস। উৎসব পরিবহন নিয়েও বেশ আলোচিত তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন ‘নৌকার মাঝি’ সংগঠন। তবে তার সবকিছু এখন অতীত। কিন্তু পর্দার অন্তরালে থাকা এ নেতা নানা কারণেই পর্দার আড়ালেই আবার সক্রিয়। সেখানে বসেই দাবার গুটির মত চাল দিচ্ছেন। অনেককে মোবাইলে দিচ্ছেন বার্তা। দলের ভেতরে নতুন করে কূটকৌশল পাকানোর চেষ্টা করছেন তিনি। যদিও দলের ভেতরে তাঁকে কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন নেতা বলছেন। তবে এক শ্রেণির নেতারা বলছেন, অন্তরালের দুষ্টক্ষত হয়ে উঠছেন কামাল মৃধা।
কামাল মৃধা এক সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কামাল মৃধা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। সেদিন তার সঙ্গে আরো বিএনপিতে যোগ দেন জাকির খান যিনি পরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। সেই জাকির খান ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার পর পালিয়ে যায়। জাকির খান এখন সাব্বির হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ২০০২ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর অপারেশন ক্লিনহার্টের সময়ে কামাল মৃধা দেশ ত্যাগ করে আমেরিকাতে পাড়ি জমান।