‘পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার আন্দোলনের বিষয়টি উদ্বেগ উৎকণ্ঠার’
সিটি করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার

‘পরীক্ষার সঙ্গে সফলতা ব্যর্থতা থাকবেই। অতীতে পরীক্ষার প্রস্তুতি কম থাকলে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাতো শিক্ষার্থীরা। এখন উল্টো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার দাবিতে আন্দোলন। বিষয়টি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। এখানে যদিও তাদের পাশ করিয়ে দেয়া যায় কিন্তু তারা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় পাশ কীভাবে করবে। তাই তাদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দরকার হলে এক বছর পরেই পরীক্ষায় অংশ নেয়া যেতে পারে’’ মন্তব্য করেছেন মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজী প্রভাষক এম কবির ইউ চৌধুরী।
শনিবার ২৫ নভেম্বর নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্লেষণ নিয়ে বিশেষ আয়োজন ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ এর আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সংবাদকর্মী আবুল হাসান।
নারায়ণগঞ্জে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষনে ইংরেজী প্রভাষক এম কবির ইউ চৌধুরী বলেন, আমরা নিয়মের বাইরে অনেক সময় যেতে বাধ্য হই। যারা পরীক্ষায় পাশ করেনি, তারা ক্লাসে মনযোগী হয়নি অথবা ক্লাসে উপস্থিতি কম হয়েছে। শিক্ষর্থীদের শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতি কম থাকায় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু পরিচিত মুখ আবার অনুরোধের বিষয় মাথায় রেখে অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ দিতে হয়।
তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনাতো, বিশেষ বিবেচনা। তবে এই বিষয়টি অভিভাবকরা ভালভাবে ভেবে দেখা দরকার। বিশেষ বিবেচনা নিয়ে কতটা সফল হবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে যে বিশেষ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে সে ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এম কবির ইউ চৌধুরী বলেন, ফেলকরা ৬৮ জনকে বিশেষ প্রশ্নের মাধ্যমে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তেমন কোন পর্থক্য দেখা যায়নি। ২২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে শিক্ষকরা দায়ী নয় তাই প্রমাণ করে।
শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এক মাস পড়ালেখা না করলেও ভাল মেধার শিক্ষার্থীরা খারাপ মেধায় পরিনত হয়ে যেতে পারে। আবার বাড়িতে মোবাইল ব্যবহার সীমিত করা যেতে পারে। মুক্ত-স্বাধীন জায়গায় কোচিং করতে শিক্ষার্থীরা পছন্দ করেন। শিক্ষকদের বিশেষ ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তেমন আগ্রহী না। এই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। অপরদিকে বলেন, যে সকল শিক্ষকরা কোচিংমুখি তাদের পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক দেয়া হলে এ অবস্থা থেকে অবশ্যই শিক্ষকরা তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে।