বক্তাবলীর কান্না নিয়ে যা বললেন শাহজাহান শামীম (ভিডিও)
সিটি করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫২ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

নিউজ নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ও চলচ্চিত্রকার শাহজাহান শামীম বলেছেন, বক্তাবলী গণহত্যা নারায়ণগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনা স্বাধীনতা যুদ্ধের বাইরে নয়। বক্তাবলীতে মুক্তিসেনাদের ৯টি ক্যাম্প ছিল। যেখানে ট্রেনিং চলতো এবং বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে সেখানে মুক্তিযোদ্ধরা এসে আশ্রয় নিত। অথচ বক্তাবলী দিবস সম্পর্কে বক্তাবলী স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানে না। বিষয়টি ভালোভাবে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এই জন্যই বক্তাবলী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করার সময় আমি জনগণের জন্য কিছু একটা নির্মাণের চিন্তা করে আসছি। সে ভাবনা থেকেই বক্তাবলীর চিন্তায় তৈরি করা হচ্ছে ‘বক্তাবলীর কান্না’। তবে আশার বাণী হচ্ছে সরকারের অনুদানে চলচিত্রটি নির্মাণ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের এ ঘটনা উল্লেখযোগ্য। তাই আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে এ চলচিত্রটি পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলছি। টাইটেল স্পন্সর খোঁজা হচ্ছে। সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবাসীয়িরা এগিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।
বুধবার ৩০ নভেম্বর নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্লেষণ নিয়ে বিশেষ আয়োজন ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ এর আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সংবাদকর্মী আবুল হাসান।
নারায়ণগঞ্জে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষনে সম্পাদক শাহজাহান শামীম বলেন, বক্তাবলীতে নিহতের তালিকা নিয়ে কিছু কথা রয়েছে। সে কারনেই স্মৃতি সৌধে স্থায়ী কোন তালিকা প্রদর্শীত হচ্ছে না।
শহীদদের মর্যাদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে পার্থক্য করা হচ্ছে এটা কী তেমন কোন পার্থক্য। এই পার্থক্য করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল সেদিন। কুয়াশার কারনে প্রতিরোধ করতে দেরী হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। পরে প্রতিরোধ করা হলে ৫ পাকসেনা নিহত হয় ঘটনাস্থলে। ২২ টি গ্রামের মাটি, পোড়া মাটিতে পরিনত হয়েছে। এটা কোন ক্রমেই গল্প নয়। ডুকুমেন্টের ভিত্তিতে তথ্যচিত্র করা হবে। তবে কাহিনী চিত্রের মত শুরু হবে। কিছু অংশ অভিনিত হবে বাকীটায় বক্তব্য থাকবে।
চলচিত্র নির্মাণে সমস্যা কমনয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে বৃদ্ধদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করা হবে। এই চলচিত্রে যারা থাকবে তারা প্রত্যক্ষদর্শী না, তারা ঘটনার কুশিলব। তারা আবেগ দিয়ে মিশে যাচ্ছে চিত্রের সঙ্গে। চলচিত্র নির্মাণের কাজটি মাইলফলক হিসেবে কাজে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় মাধ্যমে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের কনিষ্ঠ এ পরিচালক।