‘যতদিন শামীম আইভী সহনশীল না হবে ততদিন দ্বন্দ্ব’
সিটি করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪১ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার

‘‘হকারদের নিয়ে যে ঘটনা নারায়ণগঞ্জে ঘটেছে তা আসলে পারিবারিকভাবে পাওয়া দ্বন্দ্ব। যা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। যতদিন এই দুই পক্ষ সহনশীল না হবে ততদিন এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। এতে দলের প্রধান হউক আর যেই হউক থামাতে পারবে না। তবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে মেয়র এবং সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের শর্তে খুব বেশি হেরফের নয়। একজন জায়গা পরিবর্তন চায় অন্য জন সেই জায়গায় সময় পরিবর্তন করে নিতে চায়। তবে মেয়র যে ৪টি স্থানের বিষয়ে মত দিয়েছেন তার মধ্যে দুটি স্থানে হকার বসার কোন উপযুক্ততা নাই। ওসমানী স্টেডিয়ামের কথা বলেছেন যা ক্রীড়া সংস্থার অধিনে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েগেছে। অপর একটি স্থান বলেছেন বালুর মাঠ, সেই মাঠ রাজউকের। যা তারা বিক্রি করে ফেলেছে। তাই এই প্রস্তাব মানা না মানার ভেতরে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
সবশেষ হকাররা ৫ আসনের সংসদ সদস্যকে না পাওয়ায় ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান দ্বারস্থ হয়। তিনি এ সমস্যার একেবারেই শেষ পর্বে চলেগেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়ে বসেছেন সংসদে যাবো না এখানেই থাকবেন। অতপর উত্তেজনায় সংঘর্ষ। এ সংঘর্ষে যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তা বৈধ না অবৈধ তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে’’ মত দেন দৈনিক সমকালের সাংবাদিক এম এ খান মিঠু এবং আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ।
শনিবার ২০ জানুয়ারী নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্লেষণ নিয়ে বিশেষ আয়োজন ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ এর আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মাজহারুল ইসলাম রোকন।
আলোচকরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা হাসপাতালে এখন দালালদের দালালি করতে হয় না ডাক্তাররা দালালে পরিণত হয়েছে। তারা চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারনা করছে। রোগীকে ভাগিয়ে ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। যদি তা না পারে তাহলে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালে যেই মেশিন পত্র রয়েছে তা ব্যবহার না করায় অকেজো হয়ে যাচ্ছে। দক্ষ অপারেটরের অভাবে মেশিন বিকল হয়ে হয়, না হলে মেশিনের অভাবে অপারেটর বসে থাকে। আমাদের নাগরীক হিসেবে অধিকার রয়েছে সেবা পাবার তা না পাওয়ায় হতাশা রয়েছে নারায়ণগঞ্জের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর।
নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি প্রসঙ্গে বলেন, এক সময় নারী আইনজীবীরা প্যানেল পরিচিতি সভায় উপহার পাওয়া একই রকমের শাড়ী পরে উপস্থিত হত। প্যানেল পরিচিতির নামে ভোটারদের ভূরিভোজের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচনে যে আচরণ বিধি দেয়া হয়েছে তা দরকার ছিল। কিন্তু সেই আচরণ বিধি আইনজীবীরা ছলেবলে কৌশলে লঙ্ঘন করছে। তবে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে মত দেন তারা।