‘আকরামকে বিএনপি মানবে না, জনপ্রিয়তায় আবুল কালাম’
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:২০ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

নিউজ নারাণগঞ্জের লাইভ অনুষ্ঠান ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক এম এইচ মামুন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সম্পর্কে বলেন, ‘আমার ধারণা মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেএম শামীম ওসমান ছাড়া কাউকে এই আসনে মনোনয়ন দেবে বলে আমার মনে হয়না। যদি নারায়ণগঞ্জে একটা আসনেও মনোনয়ন দেয়া হয় সেক্ষেত্রে শামীম ওসমানকেই মনোনয়ন দিবে। শেখ হাসিনার হাত দিয়েই শামীম ওসমান মনোনয়ন পাবে।
মঙ্গলবার ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংবাদ নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্লেষণধর্মী অনুষ্ঠান ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানের এই পর্বের অতিথি নগর উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক এম এইচ মামুন বিভিন্ন ধরনের সংবাদের বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে নানা মন্তব্য করেছেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নিউজ নারায়ণগঞ্জের স্টাফ করেসপনডেন্ট আরিফ হোসাইন কনক।
এম এইচ মামুন বিএনপির ৪ নেতাকে গ্রেফতার সম্পর্কে বলেন, ‘বিএনপি দলটিকে প্রথম থেকেই মাঠে নামতে দিচ্ছেনা পুলিশ প্রশাসন। ৪ জনকে গ্রেফতারের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে মিছিলে নামতেই দেয়নি। তার আগেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জনস্বার্থ ব্যাঘাত হওয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা। সম্প্রতি আলোচিত শ্রমিক ধর্মঘটে পুলিশ প্রশাসন জনস্বার্থ ব্যাঘাত নানা কর্মকান্ড হলেও তাতে পুলিশের অবস্থান অনেকটাই নিরব ছিল। তাই এক্ষেত্রে পুলিশের ভিন্ন আচরণ দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আলোচিত শ্রমিক ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোর ঠেকাতে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এছাড়া শহরের মীর জুমলা সড়কের আবর্জনার নোংরা পরিবেশ নিয়ে অনেক পদক্ষেপ তুলে ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।’
আওয়ামীলীগের এক সময় আলোচিত নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে। আওয়ামীলীগে রাজনীতিতে এক সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাঠ দাবড়িয়ে বেড়ানো নেতা সারোয়ার, মাকসুদ, লাল সহ যারা না ফেরার দেশে চলে গেছে তারা এখন আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদদের কাছেও হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে যা এখন আর মনে পড়েনা।
এস এম আকরামের বিএনপি থেকে প্রার্থী পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন বিএনপির ঘাঁটি। এই আসনে বিএনপির নেতাদের সরিয়ে এস এম আকরামকে আনবে তা মনে হচ্ছেনা। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আবুল কালাম সবার উপরে রয়েছেন। এছাড়া এই আসনে তৈমূর আলম খন্দকারের জনপ্রিয়তাও রয়েছে।’
‘২০১৪ সালের উপ-নির্বাচনের সময় আমি কানাড থেকে ফোনে এস এম আকরামকে বলেছিলাম, আপনি যেহেতু উপ-নির্বাচন করতে যাচ্ছেন আপনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যান। তার সমর্থনটা নেন। বিএনপির লোকজন আপনার পাশে থাকবে। এস এম আকরাম এর উত্তরে বলেছিল, এ পর্যায়ে আমি আসি নাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আবুল কালামকে ফের করানো হয়েছে। ওই নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনে অনেক ধরণের কারচুপি হয়। কারণ এই আসনটা বিএনপির ঘাঁটি। তাই এই আসনে আবুল কালাম ও তৈমূর আলম খন্দকার এই দুজনের একজন মনোনয়ন পেতে পারে। তবে উনি যদি সংস্কারপন্থি হয়ে থাকে তবে তৈমুর আলম খন্দকার বা তার নিচের সারির যারা আছে তারা নির্বাচনে যাবে।
তিনি আরো বলেন, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার রুপগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেনা। তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সেক্ষেত্রে রুপগঞ্জের আসন থেকে দিপু ভূইয়া ও কাজী মনিরের মধ্যে সমঝোতা হবে। নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ আসনে বিএনপির যেসব নেতারা হামলা, মামলার শিকার হয়েছে তাদের কে মনোনয়ন দেয়া হবে। এস এম আকরামকে নয়।