বিএনপিও শক্তিশালী কম না : দিলীপ মন্ডল
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৫২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ৬১ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও সেখান থেকে প্রার্থী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ এ। তবে এতে করে নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়বে না বলে মনে করেন দৈনিক কালের কন্ঠ ও নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি দীলিপ কুমার মন্ডল। কারন হিসেবে বলেন বৃহৎ দুইটি দলের প্রার্থীতে ঘাটতি না থাকা ও হেভিওয়েট প্রার্থীরা টিকে থাকায় নির্বাচনী আমেজ ধরে রাখবে।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংবাদ নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্নেষণধর্মী অনুষ্ঠান টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ এ আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নিউজ নারায়ণগঞ্জের স্টাফ করেসপনডেন্ট সাবিত আল হাসান।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে গিয়াসউদ্দিনের ছিটকে পরায় বিএনপিতে প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন সিনিয়র এই সাংবাদিক। তিনি বলেন, গিয়াস এর আগে এমপি হলেও বিগত দশ বছরে সেখানে শাহ আলমের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেড়েছে। প্রথম নির্বাচনে সে খুব অল্প ব্যবধানে হেরেছিলাকবরীর কাছে। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
তবে কবরীর সাথে পরাজিত শাহ আলম শামীম ওসমানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে কতটুকু সক্ষম তা জানতে চাইলে বলেন, শামীম ওসমান ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া একজন রাজনীতিবিদ। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী একজন ব্যবসায়ী। সেদিক থেকে তার সমকক্ষ প্রতিদ্বন্ধি খুবই কম। তবে এই আসনে বিএনপির বিপুল ভোট ব্যাংক রয়েছে, সেসব দিক বিবেচনা করলে এই আসনে বিএনপিও মোটামুটি শক্তিশালী বলা যায়।
নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে কোন নারী প্রার্থী না থাকাটা হতাশাজনক উল্লেখ করে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। ৫টি আসনেও তাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন নারী তখন নারীদের প্রতিনিধি না থাকাটা কিছুটা দৃষ্টিকটুও বটে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ফিফটি ফিফটি বলেও জানান তিনি।
দুটি বৃহৎ দলেই তরুনদের চাইতে প্রবীন প্রার্থীদের প্রধান্য দেয়াকে পজেটিভ ভাবেই দেখছেন তিনি, অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সংমিশ্রণেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে তরুনদের চাইতে প্রবীনদের আধিপত্যের কারণ হিসেবে তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা প্রধান কারন হিসেবে মনে করেন তিনি।