ভোটের লেভেল প্লেয়িং নাই : একমত তিন প্রার্থীর

সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:০১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার

ভোটের লেভেল প্লেয়িং নাই : একমত তিন প্রার্থীর

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বুঝায় তা এখনো দেখা মিলছে না নারায়ণগঞ্জে-৫ আসনে। এখনো সব প্রার্থীর পোস্টার এর দেখা মিলছে না। তার উপর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাধার কথা আমরা দেখতে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনটি দলের তিন প্রার্থী।

১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ ভোটের লড়াই এর আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তাঁরা। ৫৬ তম এ পর্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালাম মুন্সী, বাসদের প্রার্থী , শ্রমিক নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং ২৩ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ হোসাইন কনক।

তবে তিন প্রার্থী একটি কথায় একমত হয়েছে যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হলে তারা যে কোন ফলাফল মেনে নিবেন।

বাসদের প্রার্থী শ্রমিক নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া কোনটাই কর্ণপাত করা হয়নি। নির্বাচনের নুন্যতম পরিবেশ তৈরী হয়েছে বলে আমাদের সংশয় রয়েছে। ২০১৪ সালের মত নির্বাচন হলে তা কোন ভাবেই আমরা মেনে নিবো না। নির্বাচন এর পরিবেশ ভাল হবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।

‘‘আমাদের মত যারা গরিব প্রার্থী। জামানত দেয়া আমাদের কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অথচ যারা কালো টাকা ব্যবহার করে, এমন অন্যান্য প্রার্থী নির্বাচনের অনেক আগেই কালো টাকার ব্যবহার করছেন। তাদের অনেক আগেই জামানতের সমান টাকা ব্যয় করে ফেলেছেন। তাই বুঝাই যায় তারা নির্বাচনে কত টাকা ছড়াতে পারে। কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের কেউ নেয় নাই।’’ বক্তব্যে যোগ করেন বিপ্লব।

শ্রমিক নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যারা দেশ চালিয়েছে তাদের উপর জনগণের আস্থা নাই। এবার সুযোগ পেলে সততা এবং জনগণের সঙ্গে যারা ছিল তাদের ভোট দিবে ভোটাররা

একই অনুষ্ঠানে অপর বক্তা খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন বলেন, পোস্টার সরকারী দলের প্রার্থীর রয়েছে। অন্যান্যদের নাই বললেই চলে। এমন হাজারো অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ দিয়েতো শেষ হবে না। অভিযোগ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নিবেন না দিলে নিবেন না এটাতো সময়ক্ষেপনের সামিল।

হাফেজ কবির বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের রাজনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ দিচ্ছে না। যা একটি দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য কোন ভাবেই কাম্য নয়। এখন আর মানুষ মার্কার কাছে যেতে চায় না, মার্কার পরিবর্তন চায়। তবে এবার ভোট দিতে পারবে কিনা তা এখনো বুঝা যাচ্ছে না। নির্বাচন পরিস্থিতি যা আছে তাতে জনগণ মেনে নিবে কিনা তা দেখার বিষয়।

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, খেলাফত মজলিস ইস্যুকে কেন্দ্র করে জোটবদ্ধ হয়। আমরা ২৩ দলের শরিক হলেও নির্বাচনে আমরা আলাদা দল হিসেবে নির্বাচন করছি।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালাম মুন্সী বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ভোটার ভোট দিলে মনে করবো সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি বলে মনে করেন হাত পাখার এই প্রার্থী। এই নির্বাচনের মাঠ সমান্তরাল করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী এবং সিইসির। না হলে দলীয় অধিনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচারনায় তেমন কোন হামলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসলামী আন্দোলনের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুন্সী বলেন, আমাদের দল সাম্প্রদায়িক দল নয়, কোরআন সুন্নাহ পালনকারী দল। মানুষের ভালর জন্য কাজ করছে ইসলামী আন্দোলন। আর ইসলাম হচ্ছে হিন্দুসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেয়। ইসলামের কাছে ভিন্নমতাবলম্বীরা নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন তিনি।



নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও