টক শোতে যা বললেন দিপু ও সাখাওয়াত (ভিডিও)
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:১৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেছেন, আমার দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি যেখানে থাকবে না সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা অবহেলিত হবোই। বন্দরের উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি, ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াতের। তাই বলা যায় যেখানে আমাদের লোক থাকবে না সেখানে নির্যাতন অবহেলা বঞ্চিত হবোই।
১৫ অক্টোবর সোমবার রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের বিশেষ লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে অপর আলোচক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ কথনের ৪৭ তম পর্বে বিষয় ছিল ভোটের লড়াই। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ হোসাইন কনক।
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, আমাদের দলে হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাভোগীরা ঢুকে পড়েছে। জামায়াত-বিএনপির লোকেরা চারদিকে ঘিরে আছে। আমি উন্নয়ন নিয়ে পোস্টার ছাপালাম পরদিন দেখি তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তবে আমাদের উন্নয়ন কাজে জাতীয় পার্টি অংশ নিতে পারবে। কিন্তু সাংগঠনের কাজে জাতীয়পার্টি আসবে না এটাই স্বাভাবিক। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে, থাকবে।
মনোনয়নের আশায় গণসংযোগ করছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্টি প্রধানের নির্দেশে উন্নয়ন তুলে ধরছি। বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। এটা পার্টির প্রতি আমার দায়িত্ব।
বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদ করে আনিসুর রহমান দিপু বলেন, বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে।
বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না, এমন কথা বলা যাবে না। চাষাঢ়া শহীদ মিনারে আমি নিজেও সমাবেশ করতে অনুমতি পাইনি। জায়গাটিরে একজন অথারিটি আছে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা মানতে হবে।
শামীম ওসমান বা আইভী নামে কোন লবি আছে বলে মনে করেন না দিপু। তিনি জানান, সবার সঙ্গেই তার যোগাযোগ রয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ করেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকেত সবাই এক। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। তবে দলের প্রশ্নে কোন গ্রুপিং নাই।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের দলের দায়িত্বশীলরা দায়িত্বহীন কাজ করেছেন। মহানগরের সাধারণ সম্পাদক গত ১২ এপ্রিল বিদেশ চলে গেছে ৬ মাস পর গত কয়েকদিন আগে ফিরেছেন। সভাপতিও একই কাজ করেছেন। পদ বাগিয়ে নিয়ে বসে থাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রতিনিধি আছেন যারা সেবক নয় মনিব হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছেন। তাই তারা কোন উন্নয়ন করতে পারে নাই। সরকারের কাছ থেকে এসব জনপ্রতিনিধিরা তেমন কোন উন্নয়নের বজেট আনতে পারে নাই। অপরদিকে তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে বিরোধীদের দমনে। আর এ কাজ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। অপরাধের চার্জশিট ৮ বছরেও দিতে পারে না। অথচ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট দ্রুত গতিতে জমাদেন। পুলিশ ব্যবহার হচ্ছে। ১/১১ এর কেয়ারটেকার সরকারের ২ বছরসহ আওয়ামী লীগ ১২ বছরের ক্ষমতায় তেমন কোন উন্নায়ন হয়নি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুর দিকে আঙ্গুল তুলে সাখাওয়াত বলেন, আপনার মত ভালো লোকেরা সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পায় না। আওয়ামী লীগ যারা সন্ত্রাসী এবং পেশিশক্তি আছে তাদের নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছে সে এখন গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে নেতাকর্মীদের নিয়ে নামলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। ফলে নেতাকর্মীদের বিপদে ঠেলে দিতে সঙ্কায় থাকতে হয়।
আগামীতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কাপুনি শুরু হয়ে গেছে। এটা বুঝতে হবে আমাদের।