আন্দোলনে বিশ্বাসী : সাঈদ, রাজনীতি এখন এমপি ভিত্তিক : আরজু
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৭:৪৯ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিরোধীদলের সংসদ সদস্য রয়েছেন। মহাজোট নয় তিনি বিরোধীদলের। তবে তিনি আওয়ামী ঘরনার সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অনেকেই গেছেন তার নির্বাচনী মঞ্চে। জাতীয়পার্টির এমপির সঙ্গে বিএনপিও রয়েছে। একই মঞ্চে আওয়ামী লীগের কিছু অংশ গেছে। সুযোগ সুবিধার কারণে অনেকেই তার বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। এ জন্য মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী যা বলেছেন যথার্থ। তিনি বলতেই পারেন। সংসদ সদস্যরা অনেক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন বর্তমান সময়ে।
রাজনীতি এখন এমপি ভিত্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা তার মন যুগিয়ে চলবে তারাই সুবিধা পাবে। প্রশাসনও এমপি কেন্দ্রীক। তাই অন্য দলের সংসদ সদস্য থাকলে যা হয়, আনুগত্য না থাকলে সুবিধা নাও দিতে পারেন তিনি। তাই বর্তমানে নেতাকর্মীদের মধ্যে দাবি উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে শক্তিশালী করতে হবে। নৌকাকে শক্তিশালী করতে হবে।
অপরদিকে সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান সাইদ আহাম্মেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টি একে অপরের পরিপূরক। আওয়ামী লীগের গৃহপালিত দল জাতীয়পার্টি। তাদের মধ্যে শ্রেণীগত কোন তফাৎ নাই, স্বার্থের জন্যই দোষারোপ করে একে অপরকে। তাদের মধ্যেই গণতন্ত্রের চর্চা নাই। গণতন্ত্রর চর্চা যতটুকু করার দরকার ছিল ততটুকু নাই।
তিনি বলেন, শাসক গোষ্ঠির একটা শ্রেণীর কাছে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। খুন-গুম-হত্যা-নির্যাতন বাড়ছে। এসব বন্ধ হয়েযেত গণতন্ত্র থাকলে।
৪ নভেম্বর রোববার রাত ১০টায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ ভোটের লড়াই এর আলোচনায় একথা বলেন তারা। এবারের পর্ব - ৫১। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান সাইদ আহাম্মেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ হোসাইন কনক।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেন, গণতন্ত্র ঠিকই আছে। তবে তিনি যা বলছেন তা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা। গণতন্ত্র চর্চা আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এক বিষয় নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কারো ইগো দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। সাধারণত কর্মসূচি যার যার অবস্থানে পালন করা হয়। এতে দলে কোন বিবেধ বা দ্বন্দ্ব দেখার সুযোগ নাই। যার বক্তব্য যার যার মঞ্চে দিচ্ছেন। জোট যেহেতু ছিল সে জন্য সেই সংসদ সদস্যর কাছে গেছে। অপরদিকে মেয়র যা বলেছে তা তার চিন্তা থেকেই বলেছেন। যারা গেছে তারা নিজেদের চিন্তায় গেছে।
আরজু ভূঁইয়া বলেন, আমি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছি। উঠান বৈঠক করে দলের মনোনয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান সাইদ আহাম্মেদ বলেন, ফটোসেশনের রাজনীতি সাম্যবাদী দল করে না। আমরা আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাই হয়তো ঐভাবে প্রচরনায় দেখা যায় না বা চোখে পড়ে না।
তিনি বলেন, সর্বকালে সর্ব সময় বেঈমানদের জন্ম হয়ে থাকে। আমরা বাধ্য হয়ে ২০ দলে যোগ দিয়েছি। পার্টি রক্ষার্থে জোটে যেতে বাধ্য হয়েছি। কারন দিলীপ বড়–য়া আওয়ামীলীগে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আমরা মন্ত্রিত্ব বা এপিত্ব চাইনা বলে এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বলেন, ২০ দলের কাছে কৃষকদের অধিকার চাইছি। আমাকে ২০ দল থেকে মনোনয়ন দিবে শতভাগ আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন তিনি।