বিএনপিকে কঞ্চি সরিয়ে বাঁশ দেয়া হয়েছে : শিপলু (ভিডিও)
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৪৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

‘‘নারায়ণগঞ্জের এসপি আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্ট দাবী জানিয়েছিল। একই সাথে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় তৎকালীন এসপি হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহারের দাবীও জানিয়েছিল গাজীপুর বিএনপি। সে হিসেবে যদি তাকেই নারায়ণগঞ্জে নিয়োগ দেয়া হয় তবে বলা চলে বিএনপিকে কঞ্চি সরিয়ে বাঁশ দেয়া হয়েছে’’ মনে করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু। তবে তিনি আশা করেন নতুন এসপি নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংবাদ নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্নেষণধর্মী অনুষ্ঠান টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ এ আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নিউজ নারায়ণগঞ্জের স্টাফ করেসপনডেন্ট সাবিত আল হাসান।
জেলায় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর উত্থানের কারণ হিসেবে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষ পরিবর্তন কামনা করছে। ১০ বছর যারা দলের জন্য কাজ করেছে তাদের দলকে কিছু দেবার জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশা কিংবা প্রার্থীতা ঘোষণা দোষের কিছু নয়। তবে আশাকরা যায় ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন। যদি কোন কারণে সেটি না হয় তবে দলথেকে শান্তি মূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আসনে গড়ে ১২ জন প্রার্থী থাকাকে পজেটিভলি দেখছেন শিপলু। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক । তবে শেষ দিকে এই সংখ্যাটা কমে আসবে বলেও তিনি ধারণা করেন। এছাড়া পিতা পুত্রের একত্রে একই আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও দলীয় স্বার্থে পরবর্তীতে প্রত্যাহার করে নিবেন বলে আশা করেন তিনি।
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতাকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না তিনি। তিনি বলেন, ফকির এপারেলস বেশ সুনাম যোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। নারায়ণগঞ্জে একযোগে সকল গার্মেন্টসে বিক্ষোভ দেখা গেলেও ফকির এপারেলস ছিল শান্ত। সেদিক থেকে এই সেক্টরে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কেউ কলকাঠি নড়ছে কিনা তা তদন্ত করা প্রয়োজন।
সবশেষে সারাদেশ সহ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরকীয়া ঘটিত অপকর্ম আশঙ্কা জনক হারে বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি। এর ফলে মা তার নিজ ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। প্রচুর পরিমান মামলা বেড়ে গেছে এ কারণে। এর বিস্তার ঠেকাতে এখনই সরকারের সচেতন হওয়া প্রয়োজন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরার আগেই। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিনদেশী সংস্কৃতি রোধ করতে হবে।