‘শামীম ওসমান আন্তরিক হলে আলোচনায় বসতে গিয়াসউদ্দিনের বাধা নাই’

স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার

‘শামীম ওসমান আন্তরিক হলে আলোচনায় বসতে গিয়াসউদ্দিনের বাধা নাই’

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটরী শওকত আলী, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম এবং সিনিয়র সহ-সভপতি মনিরুল আলম সেন্টুর মধ্যে ভাল একটি সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। আগের মতই এই সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে জানান শওকত আলী এবং অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম।

১ ডিসেম্বর শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের বিশেষ লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ আলোচক হিসেবে একথা বলেন তারা। নারায়ণগঞ্জ কথনের ৫৩ তম পর্বে বিষয় ছিল ভোটের লড়াই। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটরী শওকত আলী এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।

আলোচক দুজনই বলেন, রাজনৈতিক সম্প্রীতি দুটি দলের মধ্যেই রয়েছে। তবে নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হচ্ছে তা প্রশাসন দিচ্ছে। তাদের কাজে বাধা দেয়া হয়েছে বলে তারা মামলা করেছে বলে মত দেন আওয়ামী লীগের থানা সেক্রেটরী।

অপরদিকে বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনির বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে ফতুল্লায় ভৌতিক কোন মামলা হতে পারে না। বিএনপির সময় আমরা কোন আওয়ামী লীগ নেতাকে হয়রানী করিনি। সামনেও করবো না বলে মত দেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ, আর প্রশাসন আমাদের নামতেই দিচ্ছে না। প্রচার প্রচারণাতো দূরের কথা।

তিনি বলেন, প্রার্থীদের কোন্দল সব জায়গায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা থাকতেই পারে। চূড়ান্ত করার পর সবাই ধানের শীষ নিয়ে কাজ করবে। কৌশলগত কারণে আসনগুলোতে একাধিক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। আমাদের সবাই যোগ্য প্রার্থী, কেউ অযোগ্য নয়।

প্রার্থীদের জয়ের বিষয়ে অধ্যাপক মনির বলেন, ফতুল্লায় উন্নয়ন হয়েছে বিএনপির সময়, আওয়ামীলীগের সময় যদি উন্নায়ন হতো তাহলে গত ১০ বছরে ইসদাইর এলাকায় চাঁদা তুলে সড়ক ঠিক করতে হতো না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকা কালে বক্তবলী স্মৃতি স্তম্ভ, মাসদাইর প্রতিরোধ স্তম্ভ এবং চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভ তৈরী করেছি। আমাদের সময়ে এ কাজ গুলো হওয়ায় আমরা আনন্দিত। স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি বিএনপি। শামীম ওসমান প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছেন। আন্তরিকভাবে আলোচনা করতে চাইলে অবশ্যই আলোচনায় বসতে কোন বাধা নাই।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ফতুল্লা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজে ইউনিয়ন পরিষদে ভোট দিতে পারি নাই। সামনে এমন নির্বাচন হলে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এবার প্রার্থী নয় প্রতীক ফ্যাক্টর হবে। ফতুল্লা বিএনপির ঘাটি। আমরা বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ। যোগ করেন তিনি।

পাল্টা বক্তব্য দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী শওকত আলী বলেন, আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগের ভোট ফতুল্লায় বাড়ছে। পরিবর্তন আসছে। আমরা উন্নতির দিকে যাচ্ছি। বিজয় আমাদের হবে।

তিনি বলেন, পলাশ মনোনয়ন চাইতে পারে তবে সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে শামীম ওসমান যোগ্য প্রার্থী। সুতরাং তিনিই আওয়মী লীগের প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, মামলার রেকর্ড বিএনপির সময়ও হয়েছে। ১ বছর চেয়ারম্যানশীপ করতে পারি নাই। তবে মামলা হলেও কোন অত্যাচার বিএনপি করেনি বলে স্বীকার করেন তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে কোন হাঙ্গামা হয়নি। তবে প্রশাসনের কাজে বাধা দেয়ায় যে মামলা হয়েছে তা পুলিশ করেছে। অধ্যাপক মনিররা যেমন ভদ্র, আমরা মনে করি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও এর মত কিছু তারা করেননি। আদর্শ ভিন্ন হতে পারে তবে সবাই এক আমরা।

বক্তাবলীর তিন বারের চেয়ারম্যান হলেও গণহত্যার স্বীকৃতি না পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের কাঁধে দায় তুলে নিয়ে শওকত আলী বলেন, আমাদের কথা হয়তো সঠিক জায়গায় পৌছাতে পারিনি। তবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি চাই আমরা।


বিভাগ : টক শো


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও