আড়াইহাজারে বিএনপির কাছে ফ্যাক্টর বাবু নয়; প্রশাসন : আজাদ
আড়াইহাজার করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫৪ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার সংসদীয় আসনের বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু প্রশাসন ছাড়া কোন কাজই করতে পারবে না। তাকে টিকিয়ে রেখেছে পুলিশ ও প্রশাসন। তিনি যা করছেন প্রশাসনের সহায়তায় করছেন। তাই বিএনপির কাছে প্রধান ফ্যাক্টর বাবু নয় প্রশাসন। তবে প্রশাসন যদি নির্বাচন এর সময় কোন ধরনের দলীয় বা ব্যাক্তির তবেদারি না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি অবশ্যই আড়াইহাজার আসনে বিজয়ী হবে। তবে আশা করি প্রশাসন তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখবে। তাদের নিরপেক্ষতা ভোটাররা আশা করে।
৩ ডিসেম্বর সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের বিশেষ লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ আলোচক হিসেবে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ কথনের ৫৪ তম পর্বে বিষয় ছিল ভোটের লড়াই। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।
আড়াইহাজার সংসদীয় আসনের বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আড়াইহাজার বাসীকে গত ১০ বছর সেবা করার চেষ্টা করেছি। সড়ক, শিক্ষা ব্যাবস্থা, বেকার সমস্যা সমাধানে, মসজিদ, কবরস্থানসহ সামাজিক কাজে অবদান রেখেছি। আমি আড়াইহাজারের সন্তান হওয়ায় মানুষ আমাকে দেখেছে। আমার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টি রয়েছে। সামনে সংসদ সদস্য হতে পারলে তাদের কাছে থাকবো এবং সেবা করে যাবো।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আজাদ বলেন, প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী দেয়া বিএনপির একটি কৌশল। আমি আড়াইহাজারের গত ১০টি বছর দেখে রেখেছি। দলের প্রতিটি কর্মসূচী পালন করেছি। ঢাকার সমাবেশে আড়াইহাজারের নেতাকর্মীদের নিয়ে জমায়েত করেছি। নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। জেল খেটেছি। আশাকরি দল মূল্যায়ন করবে। আমাকেই ধানের শীষ দিবে। আমি তার সঠিক সম্মান রাখবো। এবং বিজয়ী হবো। ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছি। উঠান বৈঠক, দলীয় বৈঠক করছি। নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি বিএনপি এবং আমার রয়েছে। মাঠে কাজ চলিয়ে যাচ্ছে আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা। আমরা বসে নেই। তবে প্রশাসনের অসহযোগিতার কারনে প্রকাশ্য কিছু করতে পারছি না। তবে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি চলছে পূর্ণ গতিতে।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর কারাগারে থাকা প্রসঙ্গে আজাদ বলেন, তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কারাগারে নিয়ে যাওয়া সরকারের একটি ষড়যন্ত্র। এতে দলের পক্ষ থেকে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো দরকার ছিল। তবে আমার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি। সাখাওয়াত খান আমার মামলাসহ আড়াইহাজারের নেতাকর্মীদের মামলা গুলো দেখভাল করে থাকেন। দলের জন্য তার অবদান অনেক।
আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কম হচ্ছে না। আমার মননোয় নিয়ে রীতিমত প্রশাসন নাটক করেছে। সকালে বাতিল করেছে। সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় বৈধ ঘোষণা করেছে। প্রশাসনের এসব কাজ থেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে সরে আসা উচিত। একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করে তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরেয়ে আনা দরকার। এতে মানুষ তাদেরকে সম্মান করবে এবং ভালবাসবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এদেশের মানুষ। এদেশের সন্তান। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দায়িত্বপালন করা উচিত।
তিনি বলেন, আমাকে জেলা রিটার্নিং অফিস থেকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল যদিও আমার বিষয়ে কোন রিকল ছিল না। তার পরও আড়াইহাজারের ওসি গ্রেফতারের জন্য আবেদন করেছিল। এজন্য আড়াইহাজার বাসীর কাছে আমার গ্রেফতার হওয়ার গুজব ছড়িয়ে গিয়েছিল। এটাই প্রমাণ করে পুলিশ কতটা দালীয় আচরণ করছে।
আজাদ বলেন, কৌশলের কারনে আমি আমার কোন ডুকুমেন্ট আড়াইহাজারে জমা দেইনি। জেলা রিটার্নিং অফিসে জমা দিয়েছি। কোন একটি তথ্যের ভিত্তিতে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি আমি।
তরুণ রাজনীতিক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, নির্বাচন এর একটি কঠিন শর্ত রয়েছে। তা হচ্ছে লেভেল প্লেয়েং ফিল্ড। এর জন্য নির্বাচন কমিশন, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দল গুলোকে কাজ করতে হবে। নিজেদের অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক দলকে সুযোগ দিবেন অন্যদের জেলে আটকে রাখবেন তা করলে জাতি কাউকে ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।