এখন আন্দোলনের উপযুক্ত সময় নয় : শাহীন
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১১:৪৮ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

‘খুব কাছেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের সময়ে বেতন ভাতা কিংবা অন্যান্য যেকোন কারণে আন্দোলন গড়ে তোলার এখন উপযুক্ত সময় নয়। এতে করে শ্রমিকদের দাবী আদায় করার ক্ষেত্রে লাভের চাইতে লোকসান ডেকে আনতে পারে। তবে শ্রমিকরা যখন স্বউদ্যোগী হয়ে রাস্তায় নেমে আসে তখন তাদের বাধা দেয়া সম্ভব না’ জানান গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সভাপতি এমএ শাহীন।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংবাদ নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্নেষণধর্মী অনুষ্ঠান টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ এ আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নিউজ নারায়ণগঞ্জের স্টাফ করেসপনডেন্ট সাবিত আল হাসান।
এম এ শাহীন আরো বলেন, আমরা সবসময়েই সহিংসতার বিরুদ্ধে। যেই শ্রমিক যে গার্মেন্টসে কাজ করে সেখানে তার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য না। আমরা বরাবর তাদেরকে আহ্বান জানাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে দাবী জানাই। সহিংসতা করে দাবী আদায় করা যায় না, দাবী আদায় হয় আলোচনার মাধ্যমে।
শ্রমিকদের উস্কানি দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার নিজ চোখে দেখা মতে এমন কিছু লক্ষ্য করিনি। তবে যেহেতু মিল মালিক, পুলিশ এবং মিডিয়াতে উষ্কানির কথা বলা হয়েছে সে হিসেবে এটি ঘটা অসম্ভব কিছু না। শ্রমিকদের মাঝে বহিরাগত প্রবেশ করে হামলা ভাংচুর চালাতেও পারে। আর এই কাজের মাধ্যমে তারা শ্রমিকের দাবী দাওয়া চাপা দিয়ে তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করে থাকে।
শ্রমিক নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়ানো হয়েছেও বলে জানান তিনি। এবজন নারী শ্রমিক ভয়ে হার্ট এটাক করে মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে সেটিকে সংঘর্ষের ঘটনা বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া একাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছে বলেও শোনা যায়।
আসন্ন নির্বাচনে দেশের বৃহৎ দুটি দলের কাছে শ্রমিকের পরিবেশ ও ন্যায্য মজুরির প্রত্যাশা করেন এম এ শাহীন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভুমিকা রাখা শ্রমিকদের সব সময়েই অবহেলিত ও নিগৃহীত। তার দলগুলোর প্রধান কাজ হওয়া উচিৎ শ্রমিকদের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ১৬ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারন করা সময়ের দাবী বলেও জানান তিনি।
সবশেষে দেশের গার্মেন্টস খাতে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তিনি, নারী শ্রমিকদের সাথে অশোভন আচরণ ও মজুরিতে বৈষম্য এখনও দূর হয়নি বলে মনে করেন। পাশাপাশি নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটিও দেয়া হয়না পর্যাপ্ত পরিমান। এছাড়া গভীর রাতে নারীদের ছুটি দেয়ার ফলে তারা রাস্তাঘাটে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়। এসকল সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য মালিক শ্রমিক সকলেরই দায়িত্ব নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।