‘সেলিম ওসমান ভুল স্বীকার করেছেন’ (ভিডিও সহ)
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার দুটি আসনে জাতীয় পার্টি সহ বাকি তিনটি আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংসদদের যোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা যাকে ভাল মনে করেছেন তাকে দিয়েছেন। জোটের স্বার্থে এটা করা হয়েছে। এতে করে আমরা আওয়ামীলীগ কর্মীরা এটাকে গ্রহণ করেছি। রাজনীতিকে বিভিন্ন সমীকরণ হয়। মহাজোটের কারণে সেলিম ওসমান ও খোকা দুটি আসন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জে। উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামীলীগ দুটি আসন ছাড় দিয়ছে।
৯ ডিসেম্বর রোববার নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংবাদ নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের সংবাদ বিশ্লেষণধর্মী অনুষ্ঠান ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বিভিন্ন ধরনের সংবাদ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নানা মন্তব্য করেছেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নিউজ নারায়ণগঞ্জের স্টাফ করেসপনডেন্ট আরিফ হোসাইন কনক।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাশেরীর ব্যাপারে তিনি বলেন, জোটের কারণে এবং ভোটের সমীকরণে হিসেব করেই বিএনপি মুফতি মনিরকে প্রার্থী করেছেন।
নারাযণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামীলীগের অনেকেই যোগ্য মনেনায়ন প্রত্যাশী রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আসনের ১০ জন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন। কিন্তু শেষ সময়ে আওয়ামীলীগ দলটির সিদ্ধান্তে দলটির শরীক দল জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছাড় দেয়া হয়। এর আগেও বিগত দিনে অনেক যোগ্যরা বাদ পড়েছে। নিজেকে নয় দলের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর আওয়ামীলীগ তাই দলকে শ্রদ্ধা করে ব্যক্তি বিশেষে কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের মধ্য দিয়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড শুরু হয়েছে। বিএনপি সহ সকল রাজনীতিক দল গণতন্ত্র চর্চা করতে পারছে। সরকার এতোই উদার যে বিএনপি দলটি তাদের পার্টি অফিস ভাংচুর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেন। পুলিশতো ইচ্ছে করলে এই অযুহাতে তাদের গ্রেফতার করতে পারতো।
আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হলে গণতন্ত্র চর্চা কিভাবে সম্ভব-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপরে অনেক সময় নির্যাতন হয়েছে এটা সত্য। এর কারণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও প্রার্থী সেলিম ওসমান নিজেও তার ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগের তৃণমূলের কাছে কেন আসেনি-একারণে তিনি ভুল স্বীকার করেছে। আসলে আাওয়ামীলীগের আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী এটা তৃণমূল মেনে নিতে পারছেনা। তবে এই নির্বাচনে দলের নেতাদের উপর এটা নির্ভর করছে। তবে আশাকরছি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এটা মেনে নিয়ে লাঙলের হয়ে কাজ করতে মাঠে নামবে।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাত বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে মেনে নিয়েছে। কিন্তু এবার মেনে নিতে পারেনি। তাই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তবে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। এটা দলগত বিষয়না। আওয়ামীলীগে নেতাকর্মীরা অবশ্যই লাঙ্গলের হয়ে মাঠে নামবেন। তাছাড়া আওয়ামীলীগের যারা আছেন তারা অবশ্যই ধানের শীষকে ভোট দিবেননা। তবে তারা কাকে দিবেন আর কার হয়ে কাজ করবেন।