হেভিওয়েটরা ঢাকাতে থাকেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থাকি : ইকবাল ও মাহমুদ
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:২৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অনেক সমস্যা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ডিএনডির সমস্যা সমাধান হয়নি। তার উপর মাদক এর ভয়াল থাবা হতে সমাজ মুক্ত হতে পারছে না। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই আসনের শ্রমিক ভোটাররা। এ জন্য শ্রমিক নেতা হিসেবে আমরা পরিচিত। তাদেরকে নিয়েই আমাদের সংগ্রাম আর এই সংগ্রামের অংশ হিসেবেই আমাদের নির্বাচন এবং ভোটের লড়াই। এ লড়াইয়ে শ্রমিক ভাই-বোনরা এগিয়ে আসবে এবং ভোট দিবে। এ লড়াই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের জয় হবে মেহনতি মানুষের জয়। এই জন্যই আমাদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। সরকারী দল এই বাধা দিয়ে আসছে। আমাদের পোস্টার বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও পোস্টার রেখে কর্মীদের হামলা-মামলার হুমকি দিয়ে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমরা মৌখিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। তবে লোকবলের কারনে লিখিত অভিযোগ দিতে পারি নাই। আশ্বাস দিলেও নির্বাচন কমিশনের কোন তৎপরতা আমরা দেখতে পাই নাই।
১৯ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১০টায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ ভোটের লড়াই এর আলোচনায় এ মন্তব্য করেন সিপিবি এর প্রার্থী ইকবাল হোসেন এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মাহমুদ হোসেন। ৫৭ তম এ পর্বে সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ হোসাইন কনক।
বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচন হবে কী, হবে না তা মানুষের মাঝে শঙ্কা আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন রকম পরিবেশ নাই। তবে হামলা হওয়ার শঙ্কাবোধ করছি। বিরোধী প্রার্থীদের নীরব হুমকী দেয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। বাম সংগঠনের এ দুই প্রার্থী বলেন, হেভিওয়েট প্রার্থী বলে যাদের বুঝানো হয়েছে তারা কেউ ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থান করেন না। তারা থাকেন ঢাকায়। আর আমরা যারা আছি তারা এলাকায় থাকি। জনগণের মাঝেই থাকি। সমস্যা জনগণের সঙ্গে আমরাও পোহাই। তাই প্রার্থী হিসেবে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিপিবি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বাম সংগঠন এবং একটি জোটের মধ্যে রয়েছে। আমরা সারা দেশে প্রার্থী দিয়েছি। কোনো কোনো আসনে আমাদের একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো আসনে জোটের একক প্রার্থী দেয়া হয়নি। তাই সব দলের প্রার্থী দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। এটাই হচ্ছে কৌশল।