৩০ টাকা ভাড়ার সঙ্গে উৎসবের বাস হবে আরো আধুনিক : কামাল মৃধা
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

উৎসব পরিবহনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এর ভাড়া ৩৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকায় করার জন্য পুলিশ সুপারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজী বন্ধ এবং লাভের চিন্তা বাদ দিলে ভাড়া কমানো সম্ভব বলে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন কামাল মৃধা। তিনি উৎসব পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলে দাবী করে আসছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য।
কামাল মৃধা বলেন, ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে বাস পরিচলনা করা সম্ভব। ইতোমধ্যে আমার ৬০ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। আমি সব কিছু পুলিশ সুপারকে বলেছি। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে যাওয়ার চিন্তা ৬ মাস আগে কল্পনা করা যায় নাই। এখন যা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, যাত্রী অধিকার পরিষদ নামের একটি সংগঠন ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করে ৩দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের সঙ্গে আমিও একমত। তারা পুলিশ সুপারকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করবে। তখনি ৩০ টাকা ভাড়া বাস্তবায়ন হবে। সেই অনুষ্ঠান আমি করছি না তাই সেই অনুষ্ঠানে কে কে দাওয়াত পাবে কে পাবে না তা আমার বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১৫ জুলাই সোমবার রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিউজ নারায়ণগঞ্জের বিশেষ লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এ আলোচক হিসেবে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ কথনের ৫৮ তম পর্বে বিষয় ছিল পরিবহন, ভাড়া ও রাজনীতি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য কামাল মৃধা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।
কামাল মৃধা বলেন, ২০০২ সালে জুলাই মাসে উৎসব কোম্পানীটি চালু হয়। তখনি ভাড়া দুই টাকা কমিয়ে ১০ টাকায় পরিচালনা করেছি। এর পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন মামলা। যখন মামলা একের পর এক হতে থাকে তখনি আমি আর সামলিয়ে উঠতে পারি নাই। বাধ্য হয়ে বিদেশ চলে যাই। দেশে এসে দেখি আমার কম্পানি দখল হয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল মৃধা বলেন, এখন অনেক এগিয়ে গেছি আমরা। তাই বর্তমান উৎসবকে ঢেলে সাজাতে হবে। সিট, কালার এবং ডিজাইন আপগ্রেড করা হবে। ১৭ বছর হয়ে গেছে গাড়িগুলোর। বিআরটিএর অনুমতি নিয়েই সব কিছু করা হবে। তবে সামনে ইলেক্ট্রিক গাড়ি নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমার সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়। তবে তা আর পরে আমার থাকে না। বর্তমানে একটি এসি বাস অন্য নামে চলে। আমার সেই নামে চলে না। আমার পরিকল্পনার বিস্তারিত কাগজ কিভাবে তাদের কাছে গেছে আমি বলতে পারবো না।
তিনি বলেন, উৎসব কাউকে চাঁদা দেয় না এবং লাভ করার জন্য তৈরী হয়নি। আমি চলে যাওয়ার পরই তা মালিক সমিতির মাধ্যেমে পরিচালিত হয়। তবে এই উৎসবকে সামনের উৎসবের সঙ্গে কল্পনা করা যাবে না বলে মত দেন তিনি।
রাজনীতির বিষয়ে এবং তার বর্তমান অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে কামাল মৃধা বলেন, আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলা হলে আমি বিব্রত হই। আমার প্রিয় স্লোগান জয় বাংলার স্লোগান। বিএনপির মেম্বার পর্যন্ত হতে পাড়েনি। ঈদ শুভেচ্ছা দেয়ার জন্যও শিষ্টাচার হিসেবে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার কাছে বিভিন্ন সময় গিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ এর আওয়ামীলীগের রাজনীতি দুইটি ভাগে বিভক্ত। আমাকে একটি ভাগে ফেলা হয়।