বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নেতাদের অনুপস্থিতি বোধগম্য না : রতন

স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৩০ পিএম, ১৭ জুন ২০২০ বুধবার

বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নেতাদের অনুপস্থিতি বোধগম্য না : রতন

১৬ জুন আসলে চন্দন শীল ছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা চাষাঢ়া শহীদ মিনারে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে অনুপস্থিত থাকেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে রতন কুমার দাস বলেছেন, ‘চন্দন দা তো থাকবেই। কারণ তিনি ভুক্তভোগী। অন্য নেতারা কেন আসে না সেটা আমার বোধগম্য না।’

১৬ জুন মঙ্গলবার রাত ১০ টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশোতে ২০০১ সালে চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলার ১৯ বছর নিয়ে ‘বোমা হামলার ১৯ বছরের যন্ত্রনা’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেই বোমা হামলায় দুই পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করা আওয়ামী লীগ নেতা রতন কুমার দাস।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দুই পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করা আরেক আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন শীল ও বোমা হামলায় নিহত সাইদুল হাসান বাপ্পীর ভাই কামরুল হাসান মুন্না। উপস্থাপনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।

অনুষ্ঠানে রতন দাস আরো বলেন, ‘এটা বলার ভাষা কারো কাছে থাকে না যে বিগত ১৯টি বছর আমরা কিভাবে পার করলাম। অনেক যন্ত্রণা, কষ্ট, দুঃখ আছে। ১৯ বছর পার করে ২০ বছরে এলাম এ পর্যন্ত মাননীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ছাড়া আর কেউ তেমন খোঁজ খবর নেয়নি। এটিই সব থেকে বড় দুঃখের বিষয়।

সেই ভয়াল রাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারে জেলা আওয়ামী লীগের যে অফিসটি ছিল সেটি মাত্র নতুন করেছিল। সেদিনই তৎকালীন সাংসদ শামীম ওসমান প্রথম সেখানে গিয়েছিলেন সবার সাথে আলাপ আলোচনা করার জন্য। আনুমানিক ৮টা ২৫ থেকে ৩০ এর মাঝে বোমা ব্লাস্ট হয়। সেই বোমায় আমি এবং চন্দন দা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করি। শামীম ওসমান সহ অনেকে আহত হয়। আমার ছোট বেলার বন্ধুকে হারিয়েছি। সেই বোমা হামলাটা হয়েছিল শুধু এমপি সাহেবকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। এমপি সাহেবের ভাগ্য ভালো এবং উপর ওয়ালার সহায়ে তিনি বেঁচে গেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘চার্জশীট দেওয়ার পরেও ৭ বছর অতিক্রম হলো এখনো আশা করি আমরা একটি সুখবর পাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার আশা করি। আশা করি শিঘ্রই আমরা সুফল পাবো।


বিভাগ : টক শো


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও