জোহা ও চুনকা পরিবারকে মিলানোর মত মুরুব্বী নাই : আরজু (ভিডিও)
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৩০ পিএম, ২৩ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিমশিম খাচ্ছে। করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সারা দেশই একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় পরে গেছে। এই অস্থিতিশীলের বাইরে নারায়ণগঞ্জ না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সব চেয়ে বেশি হতাশ হলেন। আমরা যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে গর্ব করি যে আমরা ধনী জেলায়। সেই ধনী জেলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ‘এখানে কোনো উন্নতমানের হাসপাতাল নাই। তাহলে ১০ বছর ধরে তাহলে কি হলো? নারায়ণগঞ্জের মানুষ কি তাহলে ঢাকামুখী?’ এর জন্য দায়ী আসলে কে? এর জন্য দায়ী আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী, আমরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা।’
২২ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘৭১ বছরে আওয়ামী লীগ ও নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো যুক্ত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত। উপস্থাপনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গেলে নারায়ণগঞ্জে কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল নাই। স্বাস্থ্যবিহীন সময়ে করোনার আগমন হয়েছে যে কারণে হিমশিম খাচ্ছে। শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু একত্রে বসে নাই। জনপ্রতিনিধিদের মধ্যেই তো ঐক্যবদ্ধ নাই। জেলা প্রশাসক তাঁদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে নাই যে কিভাবে নারায়ণগঞ্জকে সারভাইভ করা যায়। নারায়ণগঞ্জকে সবাই ব্যবহার করেছে। ব্যবসা বান্ধব করে নারায়ণগঞ্জকে করোনায় নাম্বার ওয়ান করেছি। নারায়ণগঞ্জ থেকে কামাও আর রাজধানীতে ঘুমাও। এরকম করতে গিয়ে আমরা কিছুই পাই না। নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা করো আর মানুষ মারো।’
তিনি বলেন, ‘শামীম ওসমান সাহেব আজকে অসহায় প্রকাশ করেছেন যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাঁর কথা শোনে না। সেলিম ওসমান ওনিও পারছেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরটা একটি শক্তিশালী দুর্নীতি এবং একটি সিন্ডিকেটের মধ্যে ঢুকে গেছে। যাই হোক, অন্তত এই করোনার সময়ে চাটুকারিতা বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি দলের জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন সবাইকে এক সাথে সমন্বয় করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সমস্যার সমাধান করলে সমাধান হবে। অথবা একই অবস্থায় পরে থাকবে।’
আরজু ভূইয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে ডেভেলপ করবো এটি এক জিনিস আর নারায়ণগঞ্জকে ব্যবহার করে আমি লিডারশীপ করব এটি আরেক জিনিস। দুইটা দুই দিকে চলে। নারায়ণগঞ্জে দুইটা পরিবার। একটি ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবার। দাদা, বাবা, ভাই সবাই এমপি। আরেকটি চুনকা পরিবার যারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে সিটি মেয়র ও পৌরসভা চেয়ারম্যান। দুইটি পরিবার সম্পর্কেই প্রধানমন্ত্রী জানেন। এই দুইটি পরিবারকে মিলানোর জন্য আমি আরজু রহমান মনে করি ওই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে ওই ধরনের মুরব্বি নেতা নাই।’
তিনি বলেন, ‘জোহা সাহেব চুনকা সাহেবের সময় কোনো সমস্যা হলে ওনারা মিটমাট করতো। ওনারা পলিটিক্যালী শুনতো। এখন আলাদা। এখন একজন নিজের জায়গায় বসে থাকে আরেকজন নিজের জায়গায়। আমি আমার জায়গায় সেরা। দুইজনই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক। এই দুই পরিবারকেই বুঝতে হবে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য যদি কমিটমেন্ট থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জের ডেভেলপমেন্ট কিভাবে করা যায় সেই চিন্তাভাবনা করা উচিৎ। যার যার ইগোতে থেকে তো আমরা নারায়ণগঞ্জে কাংখিত উন্নয়ন পাবো না। নারায়ণগঞ্জকে উনিই একমাত্র সারভাইভ করতে পারবে। এত বছর রাজনীতি করে নারায়ণগঞ্জ কিছুই পায় নাই।’