নারায়ণগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইতে পারছি না : আনোয়ার হোসেন
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:৩৮ পিএম, ২৩ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমান নারায়ণগঞ্জের এমপি বা মেয়র, একজন আমাকে চাচা বলে সম্মোধন করে আর দুই এমপি (শামীম ওসমান ও সেলমি ওসমান) আমাকে গুরু বলে সম্মোধন করে। গুরুর কাজ হলো শিষ্যদের বা সন্তানদের একত্রে বসিয়ে মিল করে দেওয়া। কিন্তু মুখে যদি বলে যে গুরু বা চাচা আর কাজে যদি না হয় তাহলে তো এই কাজটা করা যায় না।’
২২ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘৭১ বছরে আওয়ামী লীগ ও নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো যুক্ত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত। উপস্থাপনায় ছিলেন তানভীর হোসেন।
আনোয়ার আরো বলেন, ‘আমরা সবাই বলি সমন্বয় করা দরকার, একত্রে বসা দরকার, একত্রে কাজ করা দরকার। সেই চেষ্টা আমি করেছিলাম। কিন্তু আমি বিফল হয়েছি। গুরুর যে দায়িত্ব গুরু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কথায় এক কাজে আরেক তাহলে সেই কাজ হয় না। তবে চেষ্টা রয়েছে এবং থাকবে অভিভাবক হিসেবে যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালন করার। আমি আশাবাদী আমাদের মধ্যে এই পক্ষ সেই পক্ষ যে রুলভ্রান্তি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের স্বার্থে আমরা যদি একত্রে বসতে পারতাম তাহলে নারায়ণগঞ্জ উন্নয়নের চরম শিখরে যেতে পারতো।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে করোনা হাসপাতালের জন্য আমরা সবাই বলেছি। সেই প্রেক্ষিতেই এখানে করোনা হাসপাতাল তৈরী হয়েছে। আসলে করোনা হাসপাতাল তৈরী করলেই হবে না। করোনা হাসপাতালের মত সময়পযোগী সব সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার সমস্ত জিনিসপত্র সংগ্রহ করা দরকার। আজকে একটা করোনা হাসপাতাল হয়েছে কিন্তু সেই জায়গায় আইসিইউ বেড নাই। করোনা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলোই নাই। এর কারণ সমন্বয়হীনতা’।
তিনি বলেন, ‘সমন্বয়হীনতার কারণ হচ্ছে আমাদের কিছু সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে চাটুকারিতা আছে। তাঁরা সত্য কথ্যা বলে না। সত্য কথা না বলার কারণেই সরকার যে জায়গা থেকে যে জিনিসটি সমাধান করবে সেই সমাধান করা সম্ভব হয় না। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের সমস্যা নিয়ে কর্মকর্তাদের যা বলার কথা ছিল সেই সঠিক কথাটি না বলার কারণেই বিলম্ব হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সমন্বয়হীনতা কারণ হচ্ছে সবাই ক্রেডিট নিতে চায়। যার কাছে বললে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় সেই সমাধান হয় না। এই সমন্বয়হীনতার কারণেই কিন্তু এই জটিল অবস্থা। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁদের সমন্বয়হীনতা, তাঁদের ডিমান্ড এবং তদবিরের অভাবের কারণে বিলম্ব হচ্ছে। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাতে চাই নারায়ণগঞ্জের দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে যে ভেদাভেদ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যদি দাবি তুলি যে আমাদের এই জিনিসটি দরকার। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী সেই দাবি মানতে বাধ্য এবং আমাদের প্রতি তাঁর সহনশীলতা আছে। কিন্তু আমরা তাঁর কাছে চাইতে পারি না। এইটা হচ্ছে আমাদের ব্যার্থতা।’