জন্মদিনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সুজন
সিটি করেসপন্ডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:০৮ পিএম, ২৭ জুন ২০২০ শনিবার

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বাংলাদেশে চলছে মহামারি। এমন সময়েই শুভদিন আসে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজনের জীবনে। জীবনের ৩৩ বছর পেরিয়ে ২৬ জুন ছিল তাঁর ৩৪ তম জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিন কেটেছে একটু ভিন্নভাবে। করোনার এই মহাদুর্যোগকালে জন্মদিনটি কেটেছে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং সকলের জন্য দোয়া চেয়ে।
২৬ জুন শুক্রবার রাত ১০টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘শুভ দিন’ অনুষ্ঠানে নিজের ৩৪ তম জন্মদিনে নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেছেন ছোট বেলায় বাবা মায়ের সাথে কাটানো জন্মদিনগুলো। এছাড়া হাফসা আক্তারের উপস্থাপনায় উঠে এসেছে মিজানুর রহমান সুজনের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়ানো, বর্তমান রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে তাঁর ভাবনা।
করোনার মহামারির মধ্যে ৩৪ তম জন্মদিনের নিয়ে সুজন বলেন, ‘অনেকের শুভেচ্ছার মধ্যদিয়েই আজকের (জন্মদিন) দিনটি শুরু হয়। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে জন্মদিন পালন করাটা যথার্থ হবে না। কারণ দেশে যে মহামারি সৃষ্টি হয়েছে সেই মহামারি থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য যে কারজটি করা উচিৎ সেটি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি মাফ চাওয়া। জুমার নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি সকলের জন্য দোয়া করেছি। জন্মদিনের পাওয়া হিসেবে আল্লাহর কাছে যদি কিছু পাওয়ার থাকে তাহলে এই মহামারি থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি চেয়েছি। এভাবেই দিনটি কেটেছে।’
আগের বছরগুলোতে পালিত জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই মায়ের হাতের স্পেশাল রান্না খেয়ে জন্মদিন শুরু হতো। বিয়ের পর মায়ের পাশাপাশি স্ত্রীও রান্না করে খাওয়ায়। বন্ধুবান্ধব, ছোট ভাই, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা যারা রয়েছে তাঁদের সবাইকে সাথে নিয়ে দিনটি কাটানোর চেষ্টা করেছি। ওরা সবাই আমাকে বিভিন্ন সারপ্রাইজ দিয়েছে। দেখা গেছে রাত ১২টায় এসে ওরা সারপ্রাইজ দিয়েছে। এগুলো অনেক আনন্দের বিষয়। তবে এবছর ওইভাবে কিছু করা হয়নি। এবারও ওরা আসতে চেয়েছিল। তবে আমি সবাইকে একটি কথাই বলেছি যে আপনারা পরিবারকে সময় দিন। এখন আনন্দ করার সময় না। এখন সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাফ চাওয়ার।’
ছোট বেলায় বাবা মায়ের সঙ্গে পালিত জন্মদিনগুলো মনে করে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন চাকরিজীবী। ছোটবেলায় আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য তিনি রাতে কেক নিয়ে আসতেন। রাতের বেলায় ঘুম থেকে তুলে বলতেন যে কেট কাটো। আমি বলতাম কেন? তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলতেন যে আমার জন্মদিন। আমার জন্মদিনের কথা মনে থাকতো না। আমার বাবা-মা সারপ্রাইজ দিয়ে মনে করিয়ে দিতো।’
এই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘করোনার কারণে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আপনারা এখন বাবা-মায়ের কাজে সহযোগিতা করবেন। যতটা পারবেন বাসায় থেকে মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। এই করোনার মধ্যে বেশি বেশি বই পড়বেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ার চেষ্টা করবেন। সেটা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। সেই শিক্ষা নিয়ে সোনার মানুষ হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন।’