করোনা যোদ্ধা রাজনৈতিক দম্পতির গল্প (ভিডিও)
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:১৫ পিএম, ১ জুলাই ২০২০ বুধবার

বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। তবে বিয়ের পরে যে দুইজনের পথ এত মিলে যাবে তা হয়তো কারো ভাবনাতেই ছিল না। অনেকেই বলেন যে বিয়ের পর সংসারের স্বার্থে কিছু ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হয়। তবে দুইজনের পথ যখন এক তখন আরো সহজ হয়েছে পথ চলা। এই দম্পতি রাজনৈতিক মাঠ ও সংসার দুই জায়গাতেই সমান ভাবে তাল মিলিয়ে পার করেছেন যৌথ জীবনের এক যুগ। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণাও করেছেন একসাথে। নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশোতে উঠে এসেছে এমনই এক রাজনৈতিক দম্পতির একযুগ পথ চলা ও করোনা যোদ্ধা হয়ে ওঠার গল্প।
৩০ জুন মঙ্গলবার রাত ১০ টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘করোনা যোদ্ধা রাজনৈতিক দম্পতির গল্প’ অনুষ্ঠানে নিজেদের ১২তম বিবাহ বার্ষিকীতে উপস্থিত হয়ে একসাথে একযুগ পার করার গল্প শোনাতে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস ও বিপ্লবী নারী সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পাদক পপি রানী সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন হাফসা আক্তার।
পপি রানী সরকার বলেন, ‘বিয়ের এক যুগ পার করলাম। একটি মানুষের সাথে থাকতে গেলে রাগ, ক্ষোভ, অভিমান তো থাকেই। তবে প্রাপ্তিটা হচ্ছে বড় বিষয়। সংসারে যদি রাগ ক্ষোভ অভিমান না থাকে তাহলে ভালোবাসার গভীরতা বোঝা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে একটু একটু করে রাজনীতিতে চলে আসা। পড়ালেখা, সংসার, রাজনীতি সবকিছু একসাথে চলছিল। একটু কষ্টকর ছিল। তবে আমার জীবনের সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক সহযোদ্ধার সহযোগিতার কারণে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।’
করোনা যোদ্ধা হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে অঞ্জন দাস বলেন, ‘করোনার সময়টি ছিল বিশেষ বাস্তবতার। মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে করোনা মোকারিলায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তিতে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়েছি। জীবাণুনাশক স্প্রে করি। হ্যান্ডওয়াশ বিতরণ করেছি। অসহায় মানুষেদের মাঝে সাধ্যমত ত্রাণ বিতরণ করেছি। সবগুলো কাজ একসাথে করেছি। এরপর যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো কিন্তু বেতন পরিশোধ করা হচ্ছিল না। তখন শ্রমিকদের বেতনের জন্য মাঠে নামতে হয়েছে, আন্দোলন করতে হয়েছে।’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘এসব কাজ করতে গিয়ে আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। করোনাকে জয় করার জন্য আমার রাজনৈতিক দল গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ ছিল। এর পরের অবস্থানেই ছিল আমার স্ত্রী পপি রানী সরকার। তাঁর নিবিড় পরিচর্যাতেই আমি করোনাকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছি।’