খোরশেদকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়েছিল : লুনা (ভিডিও)
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১০:১৯ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার

কাউন্সিলর খোরশেদের সহধর্মিনী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, অনেক সময় ওরা (আইনশৃঙ্খলাবাহিনী) আর্মস শো (অস্ত্র দেখানো) করতো। একবার এমন হয়েছে যে আর্মস শো করে বলছে যে, ‘ওনার কারণে এগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। আমি বললাম যে ওনি তো বাসায় নেই। ওনি তো নারায়ণগঞ্জেই থাকে না। তাহলে ও কিভাবে এগুলো করছে? বলে যে ‘ওনারা থাকে নাকি। ওনাদের হুকুমেই এগুলো হয়।’ আমি আবার বললাম যে আপনারা এটা কি করে বলেন যে ওর হুকুমে হচ্ছে অন্য কেউ না। তখন আমাকে একটা আর্মস দেখিয়ে এক পুলিশ অফিসার বলছিল যে, ‘আপনি কি জানেন যে কোনো মুহূর্তে ওনাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।’ আমি বললাম যে এসব আপনাদের ব্যাপার। আর এসব ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে আমাদের বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার আছেন আপনারা ওনার সাথে কথা বলেন। মাকসুদ যে বাসায় নেই এটা তো আপনারা দেখলেন। এটাতো প্রমানিত।’
১২ আগস্ট বুধবার রাত ১০টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘করোনা হিরোদের অনুপ্রেরণার গল্পট’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সহধর্মিনী আফরোজা খন্দকার লুনা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর সহধর্মিনী দিপা হাশেম। সঞ্চালনায় ছিলেন হাফসা আক্তার।
লুনা আরো বলেন, ‘ওর মামলা নিয়ে আমার অনেক ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে। যখন আমার বাচ্চারা ছোট তখন থেকেই এই মামলাগুলো নিয়ে আমি ভুক্তভোগী। আমার ছোট বাচ্চার বয়স তখন ৪-৫ বছর হবে। তখন দেখা যেতো একদিনে ৪-৫ বার আমার বাসায় এসেছে সার্চ করার জন্য। আমি তখন থাকতাম ৫ তালায়। যখন ওকে পেতো না। তখন শুধু শুধুই বাসার নিচে মাকসুদের অফিস খুলতে বলতো। তখন বাচ্চারা অনেক কান্নাকাটি করতো। বলতো যে, ‘তুমি যেও না, তুমি গেলে তোমাকেও গ্রেপ্তার করে ফেলবে।’ এই ধরণের কথা বলতো। তারপরেও বিভিন্ন কথা বলে বাচ্চাদেরকে ঘরে তালা দিয়ে রেখে আমি অফিস খুলে দিতাম। ওরা শুধু শুধু কাগজপত্র হাতাতো। কি কি নিয়ে যেতো আমি জানি না। বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমি অনেক ভয় পেতাম।’
এই বিষয়গুলো এখনো প্রভাবিত করে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই করে। আমার মনে হয় যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো ভাবে ওরা এসে আমাদেরকে হ্যারেজ করতে পারে।’