ছাত্রদলকে কেউ পছন্দ করে না : সানি
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:২৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জে কখনোই ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রদলের উপর হামলা বা নির্যাতন করেনি দাবী করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি। তিনি বলেছেন, কলেজগুলোর ক্যাম্পাসে ছাত্রদল কিভাবে ঢুকবে। কারণ তারা তো বিগত দিনে পরীক্ষার সময়ে শিক্ষার্থীদের উপর বোমা মেরেছে, জালাও পোড়াও করেছে। সে কারণেই তো ছাত্রদলকে সাধারণ মানুষ ভিন্ন চোখে দেখে। তাদের কৃতকর্মের কারণেই তো তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না।
টক শো এর ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
১৯ অক্টোবর সোমবার রাত ১০ টায় নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টক শো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ এর ‘ছাত্র রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা।
তিনি আরো বলেন, ‘সেঞ্জুরির যে মনগড়া একটি বিষয় টক শোতে দেখছি। সেটার কোনো ভিত্তি নাই। ওই লোকটা ছাত্রদলের পোস্টেড নেতা ছিল। পরবর্তিতে ক্ষমতার রাজনীতিতে সে ছাত্রলীগের আসে। ছাত্রলীগের কোনো পোস্টে ছিল না। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। তবে সেঞ্চুরির এই রেকর্ড কোনো জায়গায় নেই। হিরক রাজার গল্প, মনগড়া গল্প করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখেছি। সীমা রাণী বলেন পূর্ণিমা বলেন এরা কিন্তু রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় একমাত্র আওয়ামী লীগের পুলিং এজেন্ট ছিল বিধায় কিংবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছিল বিধায় ধর্ষণ করা হয়েছিল পুলিশের সামনে। সেখানে পঞ্চাশ গজ দূরে পুলিশ ছিল। পুলিশকে ডাকার পরেও পুলিশ মুখ ফিরিয়ে নেয়। বিএনপির পিরিয়র্ডে মামলা তো নেয়নি। আজ পর্যন্ত কোনো সলিউশন পাইনি।’
‘আজকে যে কোনো ধর্ষণের ঘটনায় আমরা আন্দোলনে নেমে যাই, সাথে সাথে গ্রেপ্তার হয়। বিচার প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। সেই সময়ের অস্থিরতায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়ি। কিন্তু বিগত সময়ে পূর্ণিমা, সীমা রানীর ক্ষেত্রে সেই বিপ্লব আমরা দেখতে পাই না। যেটা দলীয় মদদে হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের মদদে কিছু হয়নি। ব্যক্তির অপরাধ সে ব্যক্তিই সাজা ভোগ করবে এবং প্রচলিত আইনের আওতায় তাঁর বিচার হবে। দল এর কোনো দায়ভার নিবে না। কিন্তু বিগত সময়ে বিএনপি ধর্ষকদের সেফ করেছে। আজকে ধর্ষণের সংস্কৃতি ব্যপকতা পেয়েছে সেই কারণেই। আমরা যদি তখন থেকেই বিচার করতাম তাহলে আমাদের এই সংস্কৃতি দেখতে হতো না।’
সাফায়েত আলম সানি বলেন, ‘অপরাধী থাকতেই পারে। আমার ঘরের একজন ভাই অপরাধে জড়াতেই পারে। কিন্তু আমার পিতা মাতা কি করছে সেটা হচ্ছে বিষয়। আমার পিতা মাতা যদি নৈতিক হয় তাহলে তাঁকে আইনের কাছে সোপর্দ করবে। সঠিক বিচারের মাধ্যমে তাঁকে পরিশুদ্ধ করে আবার নিয়ে আসবে। আর যদি সে অনৈতিক হয় তাহলে তাঁকে আরো উস্কে দিবে। বিচার বহির্ভূত করে তাঁকে আরো ফ্রি ভাবে ঘোরার সুযোগ করে দিবে। অপরাধ প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে। যেটা আমরা বিগত সময়ে বিএনপির আমলে দেখেছি। বর্তমানে কিন্তু এই সংস্কৃতি নেই। আওয়ামী লীগ বলি, ছাত্রলীগ বলি, যুবলীগ বলি। যেই অপরাধ করছে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং বিচার প্রক্রীয়ায় নেওয়া হচ্ছে। এটা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের রাষ্ট্র, আইনের শাসনের রাষ্ট্র। সেটাই আমরা বাস্তাবায়ন করতে চাই।’