তৃতীয়পক্ষ এমপি মেয়রকে এক টেবিলে বসতে দেয়না : লাভলু
স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:২৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ লাভলু বলেছেন, ইলিয়াস হত্যাকান্ডের পর আমি বন্দরে মানববন্ধনের প্রতিবাদে যোগদান করি। কিন্তু সেখানে গিয়ে মনে হল এই হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আর প্রশাসন অদৃশ্য কারণে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের কিছু কিছু নেতারা সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিচ্ছে। তবে এটা ঢালাওভাবে বলা যাবেনা, যে ক্ষমতাসীন দলের সব নেতারা সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিচ্ছে।
২১ অক্টোবর বুধবার রাতে নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো অনুষ্ঠান ‘নারায়ণগঞ্জ কথনে’ তিনি এ কথা বলেন। ‘বন্দরে হত্যাকান্ড ও মানবাধিকার’ বিষয়বস্তু নিয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ হোসাইন কনক। অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু ও বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কমল খান।
এমপি ও মেয়রের এক টেবিলে বসার ব্যাপারে লাভলু বলেন, এমপি ও মেয়র এক টেবিলে বসার ব্যাপারে মাঝখানে একটি পক্ষ আছে যারা চায়না এক টেবিলে বসুক। যদি তারা এক টেবিলে বসে পরে ওনাদের (তৃতীয় পক্ষ বা মধ্যভোগীদের) তো কোন কাজ থাকেনা। যেকারণে ওনারা এক টেবিলে বসতে দেয়না।
বন্দরে ইলিয়াস হত্যায় খুনি তুষারের সাথে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের ছবির ব্যাপারে বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি কমল খান বলেন, আমিও তাকে এই প্রশ্ন করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে তিনি আমাকে বলেন, ‘আমরা তো জনপ্রতিনিধি যে কেউ আমাদের সাথে ছবি তুলতে পারে। আমার ইউনিয়নের অনেক লোকজন আছে তাদেরকে আমি ছবি তোলার ব্যাপারে না করতে পারিনা। আরেকটি বিষয় হল, ইলিয়াস হত্যাকান্ডের পর আমি সেখানে গিয়ে ইলিয়াসের সদ্য বিধবা স্ত্রী ও মা কে সান্তনা দিয়েছি এবং বলেছি ইলিয়াসের সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব আমি নিব। এছাড়া ইলিয়াস মারা যাওয়ার আগে তার যে ভিজিডি কার্ডের হোল্ডার সেটা তার মা কে করে দিয়েছেন।’
কিন্তু পরবর্তীতে ইলিয়াসের পরিবারের সদস্য ও তার মায়ের সাথে কথা হলে তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তখন ইলিয়াসের মা বলেন, আমাদের কাছে স্থানীয় চেয়ারম্যান আসেনি, কোন জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন আসে নাই। উল্টো প্রতিদিন রাতে আমাদের ঘরের দরজায় এসে ছেলেরা বকাঝকা করে ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে আমরা মামলা তুলে নেই।’
ইলিয়াসের মা আরো অভিযোগ করে বলেন, ভীতিকর পরিস্থিতিতে আমরা মামলার আইওকে (তদন্ত কর্মকর্তা) ফোন দিলে তিনি ফাঁড়িতে চলে আসতে বলেন।’
যখন ঘরের বাইরে সন্ত্রাসীরা দরজায় টোকা দিচ্ছে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তখন কিভাবে ভুক্তভোগী পরিবার ফাঁড়িতে যাবে। তো বন্দর থানার পুলিশের কাছে এই মামলার কোন সুরাহা পাব বলে মনে হচ্ছেনা।
তিনি বলেন, এক সময় গণমাধ্যমে নিউজ হলে সাথে সাথে অ্যাকশন হতো মানুষ উপকার পেত। কিন্তু এখন হয় উল্টোটা। এখন কোন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নিউজ হলে পুলিশ গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে বলে, এখন তোমার মাসোয়ারা দ্বিগুণ দিতে হবে। কারণ তোমার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে।