খোকা এবার শামীম ওসমানের সমর্থন পাবেন না

স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ১০:১৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

খোকা এবার শামীম ওসমানের সমর্থন পাবেন না

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছগীর আহাম্মেদ বলেন, আমি সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের দ্বিধা বিভক্তি কিংবা গ্রুপিংয়ের মধ্যে কখনো যাইনি। তবে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার হাতে নৌকা তুলে দেয়া তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা একত্রে নৌকার পক্ষে কাজ করবে।

সিআইপি বাকযুদ্ধ নিয়ে এমপি খোকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গত বছর ১০৬ জনকে সিআইপি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে মামুন ভূইয়া ছিলেন অন্যতম। আর মামুন ভূইয়ার প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তো আমার কথা হচ্ছে, আমরা যদি মন্তব্য করতে চাই আমাদের সকলেরই বাইন্ডিংস থাকা উচিত। একটা সম্মানিত লোককে সম্মান দিলে আমার তো সম্মান কমবেনা। সেখানে আমি চাইলেই একটা সম্মানিত লোককে অসম্মান করতে পারিনা। অসম্মান করাটা শিষ্টাচারের বাইরে পড়ে। আমার মনে হয়, একটা দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে এটা বলা ও করা কোনটাই সঠিক নয়। সিআইপি সরকার ঘোষণা করেছে। সরকার যাকে ঘোষণা করেছে আমি আপনি চাইলে তাকে অসম্মান করতে পারিনা।

নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমানের সমর্থন পাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আসন্ন সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমানের কোন ধরনের সহযোগিতা পাবেন এটা আমি বিশ্বাস করিনা।

ডালিয়া লিয়াকতের ব্যাপারে বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে পৌরবাসীর সেন্টিমেন্ট যার দিকে কাজ করেছে নির্বাচন তার দিকে গড়িয়েছে। এখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি বা অন্য কোন দলের বিষয় না। এখানে যারা স্থানীয় পর্যায়ের নাগরিক পৌরসভাবাসী তাদের পক্ষ নিয়ে থাকে। বিগত নির্বাচনের ইতিহাস তাই বলে। যার ফলে আমি অন্য এলাকা থেকে হঠাৎ করে এসে এক মাস দুই মাসের মধ্যে ভোট হয়ে নির্বাচন করলে কিছু হয়ে যাব পেয়ে যাব, এ ধরনের আশা করা যেতে পারে। আসলে কতটুকু তার বাস্তবতা। বিগত দিনের ইতিহাস তা সাক্ষ দেয়না। বর্তমান সাংসদের স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকতকে উদ্দেশ্য করেই আমি একথা বলেছি। উনি কিছুদিন আগে ৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন। এরপরই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিউজ নারায়ণগঞ্জের লাইভ টকশো ‘নারায়ণগঞ্জ কথন’ অনুষ্ঠানে আসন্ন সোনারগাঁয়ের পৌরসভা নির্বাচনের ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আরিফ হোসাইন কনক এর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে নির্বাচনের সময় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা হয়েছে। তাছাড়া ভোটতো রাতেই হয়ে যায়। আর দিনের বেলায় ভোট হলে প্রশাসনিক চাপ থাকে। নির্বাচনের দিন ৯ টা ১০ টার পর থেকে মেয়রের ব্যালট টানাটানি হয়েছে। ভোটাভোটি হয়নি। কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। এরপরও প্রায় ৩ হাজার ভোট পেয়েছি এজন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

মোশারফ আরো বলেন, এখানে আগা গোড়া বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে এসেছে। এখানে যদি স্বাভাবিক ভোট হয় ফেয়ার ভোট হয় তবে অবশ্যই বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করবে। বিএনপি সমর্থকরা মূল শক্তি। এটা নেতা নির্ভর দল নয়। হামালা মামলা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীদের হয়তো অন্য দলে নিয়ে গেছে এটা ভোটের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বেনা।

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভায় অসংখ্যক বিএনপি সমর্থক আছে। তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। আমি যদি কালকে সেখানে যাই সব লোকজন চলে আসবে। কিন্তু সেখানে আওয়ামীলীগ সমস্যা না, আমার সমস্যা হল আমার দল ভেঙে অনেকে জাতীয় পার্টিতে গেছে। এরা আমার স্ট্রেন্থ সম্বন্ধে জানে বিএনপির শিকড় সম্পর্কে জানে। আমি শুনেছি, বিএনপি একটি লিষ্ট তাদের হাতে আছে। গত নির্বাচনে যারা আমার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তাদেরই একটা লিষ্ট এদের হাতে আছে।


বিভাগ : টক শো


নিউজ নারায়ণগঞ্জ এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আরো খবর
এই বিভাগের আরও